রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনাকে কেন্দ্র করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। শুক্রবার এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এলে রাফাল চুক্তি নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত করবে কংগ্রেস। দোষীদেরও শাস্তি দেওয়া হবে।শুক্রবার সংসদ ফের একবার তোলপাড় হয় রাফাল চুক্তি নিয়ে।
আজ সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাফাল চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যান। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দীর্ঘ বক্তৃতা দেন ও আমায় কূমন্তব্য করেন। কিন্তু, আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি। কংগ্রেস সহ বিরোধীদলগুলি চায় প্রধানমন্ত্রীর হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কথা বলুন। আমরা যে প্রশ্নগুলি তুলেছি, সেগুলির উত্তর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি রাফালের দাম নিয়ে রাহুল বলেন, প্রতিটি রাফাল এয়ারক্রাফটের দাম ৫৬০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত কে নিল ? এয়ারফোর্সের ১২৬টি এয়ারক্রাফট প্রয়োজন ছিল। কে সেই সংখ্যাটিকে নামিয়ে আনল ? ৩০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি অনিল আম্বানিকে পাইয়ে দিয়েছেন মোদী। প্রতিরক্ষামন্ত্রক বা রাফাল চুক্তিতে দরকষাকষির জন্য যে দলটি ছিল তা কি নতুন চুক্তির কোনও বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছিল?”
এখানেই না থেমে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, দুর্নীতির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত। আন্তর্জাতিক ঋণ মাস্টার ও নিজের বন্ধু অনিল আম্বানিকে চুক্তিটি দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যুবসমাজকে সোনিয়া তনয় অনুরোধ করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কী বলছেন তা মন দিয়ে শোনো তোমরা।
Be the first to comment