আর দলের সহ সভাপতি হিসাবে নয়, নতুন সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সহ সভাপতির মুকুটে নয়া পালক। কবে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসাবে সর্বসম্মতভাবে ঘোষিত হলো কংগ্রেসের পোস্টার বয় রাহুলের নাম। সোমবার বিকেল ৩ টে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত ভাবেই দলের মসনদে বসলেন সোনিয়া তনয়। মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীর পর পরিবারের ষষ্ঠজন হিসাবে জাতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী।
মায়ের পর এবার ব্যাটন ছেলের হাতে। কথা ছিল গুজরাটে প্রথম দফার ভোট শেষ হলেই দলের সভাপতি পদে অভিষেক ঘটতে পারে রাহুলের। আর সেই কথা মতোই গুজরাটের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই সভাপতি পদে আসীন হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সভাপতি। এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ছিনিয়ে নিলেন গান্ধী পরিবারের যোগ্য এই উত্তরসূরী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শনিবার খেকেই নতুন দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সোমবার রাহুলের সভাপতি হওয়ার কথা ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই উৎসবের মেজাজ জাতীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে। সমস্ত স্তরের কর্মী, সমর্থকরা মেতে ওঠেন আনন্দ, উৎসবে।
এতদিন কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব সামলেছেন সোনিয়া গান্ধী, কিন্তু এবার মায়ের কূর্সিতে বসলেন স্বয়ং ছেলে। সোমবার, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের (সিইএ) চেয়ারম্যান মুলাপল্লী রামচন্দ্রন এবং সিইএ-র সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রি ও ভুবনেশ্বর কালিটা সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করলেন। বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন রাহুলের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে দেশ।
Be the first to comment