প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে ফের জল্পনা। গত বৃহস্পতিবার ভোটকুশলী নাকি সবার অলক্ষ্যেই রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পিকে নাকি বৃহস্পতিবার বেশ কিছুক্ষণ কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদিও ঠিক কী বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেসের অন্দরের একটা অংশের দাবি, পিকে আসন্ন গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চান। আরেকটা অংশের আবার দাবি, গুজরাট বা হিমাচল নিয়ে আলোচনার জন্য প্রিয়াঙ্কা-রাহুলের সঙ্গে দেখা করেননি পিকে। তিনি আলোচনা করেছেন ২০২৪ লোকসভা নিয়ে। তার আগে অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চান না। ২০২৪-কে সামনে রেখেই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বস্তুত গত বছর এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরপর প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছিল। বেশ কয়েক দফায় গান্ধীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন পিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে আলোচনা একেবারে শেষ মুহূর্তে গয়ে ভেস্তে যায়। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ব্যর্থতার পর আবারও পিকে এবং কংগ্রেসের নৈকট্যের খবর শোনা যাচ্ছে। যদিও কোনও শিবিরই এ নিয়ে সরকারিভাবে কোনও পক্ষই সরকারিভাবে মুখ খোলেনি।
পিকে কংগ্রেসে পাকাপাকিভাবে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা করছেন নাকি শুধু গুজরাট এবং হিমাচল নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেটা নিয়েও চূড়ান্ত ধন্দ রয়েছে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক নেতা বলছেন, প্রশান্ত নিজেই গুজরাট এবং হিমাচল নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল, গত বছর প্রশান্তের সঙ্গে কথাবার্তা ভেস্তে যাওয়ার পর তাঁরই প্রাক্তন পিকে সহযোগী সুনীল কানুগোলুকে নিজেদের পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছে কংগ্রেস। সুনীল এখন কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার ভোটে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। প্রশ্ন হল, প্রশান্তের সঙ্গে যদি হাত শিবির চুক্তি করে তাহলে সুনীলের কী হবে? সুনীল অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর পিকের সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নেই। ২০১৪ সালের আগে মোদির হয়ে দু’জনে একসঙ্গে কাজ করেওছেন। এখন দেখার আগামী দিনের ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে মোড় নেয়।
Be the first to comment