নাগরিকত্ব বিল নয়, শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ হইচই হল রাহুল গান্ধীর ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যকে ঘিরে। অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদের দুই কক্ষে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে হইচই শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। দলের মহিলা সাংসদদের সঙ্গে নিয়ে লোকসভায় ‘রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দিতে হবে’ দাবি তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ বিজেপি’র মহিলা সাংসদরা।
‘এ দেশের সব পুরুষ ধর্ষক নন। রাহুল গান্ধীর প্রায় ৫০ বছর বয়স হতে চলল। তবে উনি আজও বোঝেন না এই ধরনের ভারতে এসে ধর্ষণ মন্তব্যের কী প্রভাব পড়তে পারে!’ অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর দাবি, ‘দেশের প্রত্যেক মহিলাকে অপমান করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।’ ‘রাহুল গান্ধী ক্ষমা চান’ দাবিতে আসন ছেড়ে এগিয়ে আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রমা দেবীর মতো বিজেপির সাংসদরা।
ট্রেজারি বেঞ্চের এই হইচইয়ের মধ্যে পালটা সরব হন বিরোধীরাও। ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে এই মন্তব্য করেছিলেন। আর উনি দেশের বর্তমান অবস্থা বোঝাতেই এই মন্তব্য করেছিলেন।’ কানিমোড়িকে সমর্থন করেন পাশে বসে থাকা এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও।
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীজির মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা মনে আছে? মেক ইন ইন্ডিয়া এখন বদলে গেছে রেপ ইন ইন্ডিয়ায়। দেশে যৌন নিপীড়ন যেভাবে বেড়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের কাছে দেশের মাথা হেট হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, এর আগে উন্নাওয়ের ঘটনার পর ‘ভারত বিশ্বের ধর্ষণের রাজধানী’ মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। প্রসঙ্গত, আজ লোকসভায় আসেননি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
Be the first to comment