কিছুদিন আগে কর্তারপুর করিডোরের কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধু। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং তাঁকে বারণ করেছিলেন। তাও তিনি কেন পাকিস্তানে গেলেন? এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার সিধু বলেন, আমার ক্যাপটেন রাহুল গান্ধী। তিনি আমাকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছেন।
কর্তারপুরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিধুর যথেষ্ট প্রশংসা করেন। এক খলিস্তানি নেতার সঙ্গে সিধুর ছবি দেখা যায়। এই দু’টি বিষয় নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয় ভারতে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিতর্ক সৃষ্টি হবে আশঙ্কা করেই অমরিন্দর সিং সিধুকে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বিতীয়বার ভেবে দেখতে বলেছিলেন।
এদিন এক প্রশ্নের জবাবে সিধু বলেন, রাহুল গান্ধীই তো আমাকে সব জায়গায় পাঠান। পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে অন্তত ২০ জন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। প্রত্যেকেই যাওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
অমরিন্দর সিং-এর প্রসঙ্গে সিধু বলেন, তিনি আমার বাবার মতো। তাঁকে আমি বলেছিলাম, আগেই পাকিস্তানে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছি।
গত মঙ্গলবার অমরিন্দর সিং বলেন, আমি সিধুকে বলেছিলাম, পাকিস্তানে যাবে কিনা একবার ভেবে দেখ। কিন্তু সে বলল, ব্যক্তিগত কারণে সেদেশে যাবে। তারপরে আর কাউকে আটকানো সম্ভব নয়।
কর্তারপুরে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ বছরগুলি কাটিয়েছিলেন। সেখানে একটি গুরুদোয়ারা আছে। কর্তারপুর করিডোর তৈরি হলে ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীরা সহজে সেখানে যেতে পারবেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, সিধু ওই করিডোর তৈরির কৃতিত্ব নিতে চান।
সিধু নিজে বলেছেন, আমি আগেরবার যখন পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে বললাম, ইসলামাবাদ কর্তারপুর করিডোর তৈরি করতে রাজি, অনেকে আমাকে ঠাট্টা করেছিল। এখন তারাই অন্য কথা বলছে।
Be the first to comment