আগামী ৭ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার আগে সোমবার সেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শাসক তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, বিজেপি এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে একইসঙ্গে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তাঁর কথায়, তেলেঙ্গানার মানুষ, শুনে রাখুন, মোদী, চন্দ্রশেখর রাও এবং ওয়াইসি-র মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তারা যেন আপনাদের বোকা বানাতে না পারে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি হল বিজেপির বি টিম। ওয়াইসির সংগঠন বিজেপির সি টিম। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করাই তাদের উদ্দেশ্য।
টিআরএস সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, তারা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি নয়, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সঙ্ঘ পরিবার।
এবারের ভোটে কংগ্রেস চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি, সিপিআই এবং তেলেঙ্গানা জন সমিতি নামে এক সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। টিআরএস এবং বিজেপি নির্বাচনে লড়ছে আলাদাভাবে।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, তেলেঙ্গানার ভোটে কঠিন লড়াই লড়তে হবে বিজেপিকে। এর আগে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গী ছিল তেলুগু দেশম পার্টি। কিন্তু এবার তাদের সঙ্গে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দলের জোট নেই। কেবল তেলেঙ্গানা যুব সেনা নামে এক ছোট দলের সঙ্গে তারা একসঙ্গে ভোটে লড়বে। তেলেঙ্গানায় দল কেমন সমর্থন পাচ্ছে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে এবারেই। বিজেপি গতবারে পাঁচটি আসন পেয়েছিল। এবার ১৫ টি আসন পাবে বলে আশা করছে। সেক্ষেত্রে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে বিজেপি সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
বিজেপির এক নেতা জানান, সত্যি কথা বলতে কি, আমরা ১২ থেকে ১৫ টি আসন পাব বলে আশা করছি। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ও কংগ্রেস জোটের মধ্যে জোর লড়াই হবে। চন্দ্রেশেখর রাও বলছেন তাঁর দল নাকি সুইপ করবে। এমনটা হতে পারে না।
তেলেঙ্গানায় মুসলিম ভোট শাসক টিআরএস এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। রাজ্যে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ মুসলিম আছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ মুসলিম। রাজধানী হায়দরাবাদে মুসলিম ভোটাররা অনেকগুলি আসনে নির্ধারক হয়ে উঠতে পারেন। রাজ্য জুড়ে মোট ১১৯ টি আসনে মুসলিমরা জয়পরাজয় নির্ধারণ করবেন।
Be the first to comment