রেলের সরকারি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ ও পাল্টা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে বিতর্কের সৃষ্টি হল। রবিবার মেদিনীপুরে ফুটব্রিজের উদ্বোধনে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া একসঙ্গে থাকাকালীন উঠল এই ধ্বনি ৷ যদিও এটিকে সৌজন্যের রাজনীতি বলেই মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷
পশ্চিম মেদিনীপুর রেল স্টেশনে বহুদিন ধরে ফুট ওভারব্রিজের দাবি উঠছিল কারণ এই স্টেশন দিয়ে ১৯ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন ও ১৬ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করে। এই অবস্থায় একটিমাত্র ফুটব্রিজের উপর চাপ পড়ছিল। তাই রেলযাত্রীদের আবেদন ছিল আরেকটি ফুটব্রিজের। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে ৫ কোটি টাকা খরচ করে দ্বিতীয় ফুটব্রিজের কাজ শুরু হয় ৷ এদিন মেদিনীপুরের সেই দ্বিতীয় ফুটব্রিজের উদ্বোধন হয় ঘটা করে। উদ্বোধনে এসেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া ৷
এদিন যখন ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন জুন মালিয়া এবং দিলীপ ঘোষ ৷ সেসময় বিজেপি সমর্থকরা ‘জয় শ্রী রাম’ বলার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ভরিয়ে তোলেন অনুষ্ঠান। যদিও রেলের আধিকারিকরা দু’পক্ষকে কোনওভাবেই শান্ত করার চেষ্টা করেননি ৷ তবে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি অনুষ্ঠানে এসে এভাবে স্লোগান দিয়ে কেন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি কোনও পক্ষই।
তবে স্লোগান পাল্টা স্লোগান হলেও বহুদিন পর এদিন মেদিনীপুরে দেখা গেল সৌজন্যের রাজনীতি। রেলের অনুষ্ঠানে একমঞ্চে একদিকে যেমন ছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, অন্যদিকে একই মঞ্চে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া।
ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনের আগে দিলীপ ঘোষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন জুন। জিজ্ঞেস করেন, তাঁর এত রোগা হওয়ার কারণ। দিলীপ ঘোষ জানান, রোগা হয়েছেন, কিন্তু আরও চেষ্টা করছেন। তবে হাঁটার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হচ্ছে। পরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই ধরনের সৌজন্যের রাজনীতি বাংলায় সব জায়গায় হওয়া উচিত।’’ আর জুন মালিয়া বলেন, ‘‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি করাটা ঠিক নয়।’’
Be the first to comment