ধর্মঘটের সমর্থনে দেশজুড়ে পথে নামলেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল রেল ও পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে। সকাল থেকেই শিয়ালদহের বিভিন্ন শাখায় রেল চলাচল ব্যহত হচ্ছে বামেদের বিক্ষোভের কারণে। ইতিমধ্যেই শ্যামনগরে অবরোধে শামিল ধর্মঘটীরা। চূচুড়া স্টেশনে শুরু হয়েছে অবরোধ ডায়মন্ডহারবার-লক্ষ্মীকান্তপুরে রেল যোগাযোগে বাধা দেওয়া হয়েছে। মধ্যগ্রাম স্টেশনে বচসা শুরু হয় ধর্মঘটী এবং নিত্যযাত্রীদের মধ্যে।
বেলা গড়াতেই সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘটীরা। রাজাবাজারে ধর্মঘটীদের বিক্ষোভ। যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ দিন রেল অবরোধ চলে। পাশাপাশি লেনিন সরণিতে জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। অশান্তি দেখা যায় বারাসাতে। লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটীদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এ দিকে প্রতিবারের মতোই ধর্মঘটে সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক এমন নোটিফিকেশন জারি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে ভোগান্তি এড়িয়ে সময় মতো অফিস পৌঁছনোই আপাতত চ্যালেঞ্জ সরকারি কর্মীদের। সরকারি-বেসরকারি বাসই ভরসা আজ বহু মানুষের।
ধর্মঘটে যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করে রাজ্যপ্রশাসন। বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘটের আহ্বায়ক সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, আইএটিইউ,ই. এইচএমএস, টিইউসিসি, এলপিএফ, সেবা, ইউটিইউসি-এর মতো সংস্থাগুলি।
Be the first to comment