ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের দশটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। আজ সোমবার ও মঙ্গলবার পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে অকালবর্ষা নামতে পারে। বৃষ্টির পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা থাকায় মৎস্যজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস।
দিন কয়েক আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ দানা বেঁধেছে। তার জেরে ফেতাই ঝড়ের প্রভাবে খারাপ হয়েছে আন্দামানের আবহাওয়া। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সেই নিম্নচাপই শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি করে।
যদিও হাওয়া অফিস বলছে, আপাতত শুধু বৃষ্টির ওপর দিয়েই রক্ষা পাবে বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কয়েক মাস আগেই আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। যার প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়েছিল ওড়িশায়। কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতাতেও।
কিন্তু হাওয়া অফিস বলছে, এখন যদি বৃষ্টি হয় তাহলে তার প্রভাব খুব একটা ভাল হবে না। সবে শীত পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। তাপমাত্রা নামছে একটু একটু করে। এরই মাঝে বৃষ্টির কারণে মেঘ জমতে শুরু করবে। ফলে তাপমাত্রা ফের বাড়বে। জমাটি শীতের স্বাদ পাবে না বাংলা।
Be the first to comment