দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে মৃত অন্তত ৭

Spread the love

ফের প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণবঙ্গ। বিকেল চারটে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতও হয়। তার ফলে প্রাণহানি হয়েছে মোট সাতজনের। তাঁদের মধ্যে একজন হুগলির পোলবার বাসিন্দা। বাকি সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টির ফলে অসহ্য গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন রাজ্যবাসীর। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। 

সোমবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ যে ভাসতে চলেছে সে আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। দুপুর গড়াতে না গড়াতে সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি  হল। কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বিকেলেই যেন নেমে আসে সন্ধে।  বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি।

কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ সর্বত্র প্রায় একই পরিস্থিতি। বজ্রাঘাতে প্রাণও হারান অন্তত সাতজন। তাঁদের মধ্যে একজন হুগলির পোলবার বাসিন্দা। জমিতে কাজ করার সময় হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার মির্জাপুরের নওদা এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও তিনজন। প্রত্যেকেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাক বর্ষার বৃষ্টিই চলছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে, মৌসম ভবন সূত্রে প্রাপ্ত রেখাচিত্র অনুযায়ী, রবিবারই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সম্পূর্ণভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে।

রবিবার দুপুর থেকেই একাধিক জায়গাতে বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুরের একাংশেও বর্ষা ঢুকেছে। সকালের দিকে প্রবল গরমে প্রায় হাঁসফাঁস অবস্থা হয় দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তবে ঝড়বৃষ্টির পর প্রবল গরম থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পান বঙ্গবাসী। স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*