অভনী হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। অনিল আম্বানির প্রস্তাবিত প্রকল্প বাঁচাতেই মারা হয়েছে বাঘিনীকে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরের। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকার অনিল আম্বানির কাছে বিবেক বিক্রি করে দিয়েছে। বলা হচ্ছে বাঘিনীর হামলায় প্রায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলছি, মানুষ জোর করে জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। জঙ্গলের রাজত্বে থাবা বসিয়েছে। বাধ্য হয়ে বন্য প্রাণীরাও এবার হামলা চালাচ্ছে। ঘুম পাড়ানি গুলি করে অজ্ঞান করাই যেত। গুলি করে মারার প্রয়োজন ছিল না।’ এই নিয়ে রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সুধীর মুঙ্গানিত্বরেরও সমালোচনা করেন তিনি।
এর আগে কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মেনকা গান্ধিও পরিবেশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন। ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি করেন। সেই নিয়ে দুই মন্ত্রীই আবার বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। পশুপ্রমীদের অভিযোগ ছিল, অভনীকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে আদেশ দিয়ে আইন ভাঙ্গা হয়েছে। ঘুমপাড়ানি গুলে ছুঁড়ে আহত করা যেতে। পশুপ্রেমীদের পাশে দাঁড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধি। আবার মেনকা গান্ধির পাল্টা সমালোচনা করেন সুধীর মুঙ্গানিত্বরও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, দেশে অপুষ্টির কারণে অনেক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও উচিত সেসবের দায় নিয়ে পদত্যাগ করা। সেরকমটা করে মেনকা গান্ধি দৃষ্টান্ত তৈরি করুক। তাহলে সেই পথে হাঁটবেন তিনিও। প্রয়োজন হলে একসঙ্গেই পদত্যাগ পত্র জমা দিতেও রাজি।
যদিও অনিল আম্বানি গ্রুপ ও ইয়াভাতামাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অনিল আম্বানি গ্রপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইয়াভাতামালে তাদের কোনও প্রকল্প তৈরি করার চুক্তিই হয়নি। জেলা প্রশাসন জানায়, যেখানে অভনীকে মারা হয়েছে, অনিল আম্বানির প্রকল্প এলাকা সেখান থেকে অনেকটাই দূরে। তাই দুটো ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই।
Be the first to comment