ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে কারচুপির অভিযোগ আগেই করেছেন বিরোধীরা। এবার রাজস্থানের রাস্তায় ভোটযন্ত্রের ব্যালট ইউনিট পড়ে থাকতে দেখা যাওয়ায় আরও সরব হলেন তাঁরা।
ভোটযন্ত্রে দু’টি ইউনিট থাকে। একটি কন্ট্রোল ইউনিট। অন্যটি ব্যালটিং ইউনিট। ব্যালটিং ইউনিট হল একটি ছোট্ট বাক্সের মতো যন্ত্র যার ওপরে প্রার্থীদের নাম ও দলীয় প্রতীক আঁকা থাকে।
শুক্রবার বিধানসভা ভোট হয়েছে রাজস্থানে। এদিনই রাতে দেখা যায়, বারান জেলার শাহবাদ শহরের কাছে জাতীয় সড়কের ওপরে পড়ে আছে ভোটযন্ত্রের ব্যালটিং ইউনিট। বিরোধীরা বলেন, ভোটযন্ত্র যে বিকৃত করা হয়েছে, এ হল তারই প্রমাণ। যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে, ওই ইউনিটটি কোনও ভোটযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বাড়তি ইউনিট হিসাবে ওটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গুদামে।
নির্বাচন কমিশনের এক অফিসার শনিবার বলেন, ভোটে ওই ইউনিটটি ব্যবহার করা হয়নি। অন্যান্য ভোটযন্ত্রের সঙ্গে ওই ইউনিটটি শাহবাদ তহসিল অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে সম্ভবত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে।
জেলার নির্বাচনী অফিসার এস পি সিং বলেন, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য দুই অফিসার আরদুল রফিক এবং নওল সিংকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নিয়ম মাফিক ওই ব্যালট ইউনিটটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা সদরের স্ট্রংরুমে।
কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রদেশে ভোটযন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল। কংগ্রেসের এমপি বিবেক তনখা অভিযোগ করেন, ২৮ নভেম্বর রাজ্যে ভোটের দু’দিন পরে কয়েকটি ইভিএম একটি স্কুল বাসের মাধ্যমে আনা হয়েছিল জেলা কালেক্টরের অফিসে। সম্ভবত ওই যন্ত্রগুলি কোনোভাবে বিকৃত করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর জানা যায়, ভোপালে যে স্ট্রংরুমে এভিএমগুলি রাখা আছে, সেখানে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। ফলে স্ট্রং রুমে রাখা ইভিএমে নজর রাখা যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই এক ঘণ্টার মধ্যে ভোটযন্ত্র বিকৃত করা হয়েছে। অপর এক স্ট্রংরুমে দেখা যায়, পিছনের দরজা খোলা আছে। তাতেও সন্দেহ জাগে অনেকের।
বেশিরভাগ বিরোধী দল দাবি করেছে, ২০১৯ –এর লোকসভা ভোটে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা হোক। জনতা দল ইউনাইটেডের প্রাক্তন নেতা শরদ যাদব দাবি করেছিলেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মনে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তা দূর করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য বলেছে, আগের মতো ব্যালট পেপার ব্যবহার করার প্রশ্নই ওঠে না।
Be the first to comment