ক’মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজস্থানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক হিংসা। শনিবার নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাজস্থানের প্রতাপগড় শহরের কাছে এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে রাস্তার ধারে এক চায়ের দোকানের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত সম্রাথ কুমাওয়াত। সেই সময় বাইকে করে তিন থেকে চারজন আততায়ী সেখানে আসে। তারা প্রথমে কুমাওয়াতকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির আঘাতে কুমাওয়াত রাস্তায় পড়ে গেলে তলোয়ার দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয়। তারপরেই আততায়ীরা বাইকে চেপে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন। কিন্তু কিছু করার আগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা কুমাওয়াতের মৃতদেহ নিয়ে রাস্তার উপরেই বসে পড়েন। তাঁদের দাবি ছিল, যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে। নির্বাচনের আগেই এই ঘটনা ঘটায় বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ জানায়, শিগগির তাঁরা আততায়ীদের গ্রেফতার করবেন। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর কুমাওয়াতের বাড়ির লোক দাবি করেন, কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তাঁর। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা মঙ্গু সিং জানিয়েছেন, বিজেপি’র একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন সম্রাথ কুমাওয়াত। গোটা এলাকায় সবার জন্য ছুটে যেতেন তিনি। বিরোধীদের চক্রান্তেই মরতে হয়েছে তাঁকে।
যদিও এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলত টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ” বিজেপি কর্মী সম্রাথ কুমাওয়াতের নৃশংস খুনের প্রতিবাদ করছি। যারা এই খুন করেছে তাদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবস্থা যে তলানিতে, তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।”
যদিও বিজেপি’র তরফে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে কংগ্রেসের হাত রয়েছে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে কংগ্রেস এই কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
Be the first to comment