রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন শুনবে বারাসত জেলা আদালত ৷ দুপুর ২টোয় হবে শুনানি ৷ তবে এর আগে তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেয় বারাসতের বিশেষ আদালত ৷ বিচারক সঞ্জীব দারুকা জানিয়ে দেন, তাঁরা এই আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না ৷ কারণ এই আবেদন শোনার এক্তিয়ার তাঁদের নেই ৷
রাজীব কুমারের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী দেবাশিস রায়, গোপাল হালদার, রতন ঝাঁ ও গৌরীশঙ্কর বল ৷ মঙ্গলবার বারাসত বিশেষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেন রাজীবের আইনজীবী গৌরীশঙ্কর বল ৷ কিন্তু বিচারক সঞ্জীব দারুকা জানিয়ে দেন, তাঁরা এই আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না ৷ কারণ এই আবেদন শোনার এক্তিয়ার তাদের নেই ৷ এরপর রাজীবকুমারের আইনজীবীরা জেলা জাজ শব্বর রশিদির এজলাসে আবেদন করেন । বেলা ১২ টা নাগাদ মামলা শোনেন জেলা জাজ। রাজীবের আইনজীবীরা আগাম জামিন চান। তখন সিবিআই-এর আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন।
সিবিআই-এর আইনজীবী বিশেষ আদালতে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট চেয়েছিলেন। সেকথা জানার পর জেলা জাজ জানান, ওই নথি না দেখে কিছু রায় দেওয়া যাবে না ৷ সেই মতো আদালতের দ্বিতীয়ার্ধেই হবে শুনানি।
উল্লেখ্য, সম্বার০ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নবান্নে যান সিবিআই অফিসাররা। রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন তাঁরা ৷ রবিবার ছুটি থাকায় মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে লেখা সিবিআই-এর চিঠি গ্রহণ করেনি নবান্ন ৷
সিবিআই আধিকারিকরা রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চারটি চিঠি নিয়ে নবান্নে যান। এর মধ্যে দুটি রাজ্য পুলিশের ডিজি-এর জন্য । অন্য দুটি মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের জন্য। ছুটির দিন বলে নবান্নের তরফে চিঠিগুলি নিতে অস্বীকার করা হয়। পরে বিষয়টি জরুরি বলে আবেদন করায় ডিজি-এর চিঠিগুলি গ্রহণ করা হয় ৷ ডিজিকে লেখা দুটি চিঠির মধ্যে একটিতে রাজীব কুমারকে সোমবার ২ টোর মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
Be the first to comment