বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদার ৷ পাশাপাশি, তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই ৷ এদিন সওয়াল-জবাব চলাকালীন রাজীব কুমার পলাতক বলে আদালতে জানান সিবিআই-এর আইনজীবী ৷
প্রসঙ্গত, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য একাধিকবার সিবিআই-এর তরফে রাজীব কুমারকে নোটিশ পাঠানো হয় ৷ কিন্তু, হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ শুনানি চলাকালীন আজ বিচারকের উদ্দেশে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, রাজীব কুমারকে সমন পাঠানো হচ্ছে। অথচ উনি আসছেন না। এটা ক্রিমিনাল কন্সপিরেসি। হাইকোর্ট বলেছে, ওঁকে সাহায্য করতে। ডিজিপিকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া সব IPS কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ ওঁর খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বত্র খোঁজা হয়েছে। নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু, তাঁর দেখা নেই। রাজীব কুমার পলাতক।
শুনানির সময় সিবিআই-এর আইনজীবী আরও বলেন, তদন্তের সঙ্গে যুক্ত তিন পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারের নির্দেশে কাজ করেছেন। SIT-এর তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিতেন অর্ণব ঘোষ। তাঁকে নির্দেশ দিতেন রাজীব কুমার। তখন বিচারক বলেন, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করার জন্য আপনাদের কাছে যখন সব নথি রয়েছে তাহলে আদালতে এসেছেন কেন? তখন সিবিআই-এর আইনজীবী দাউদের পালানোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দাউদের ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বাঁধার জন্য আদালতে যাওয়া হয়েছিল ৷ আমরা চাই আদালতের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করতে ৷
পাল্টা রাজীব কুমারের আইনজীবী জানান, ৪৫(২) ধারায় বলা আছে, গ্রেফতারের জন্য রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে ৷ এমনকী, শিলংয়ে তাঁকে ৪০ ঘণ্টা ধরে টানা জেরা করা হয়েছিল ৷ তাই তদন্তে অসহযোগিতার প্রশ্ন ওঠে না ৷ সওয়াল-জবাব চলার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক সুব্রত মুখার্জি ৷
Be the first to comment