কর্মীদের চাকরবাকর ভাবলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন; বিস্ফোরক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

বিধানসভা ভোটের আগে শাসকের অস্বস্তি ফের বাড়ালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় রাজীবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি রোজদিন.ইন। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও-য় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কারও নাম না করে বলতে শোনা যায়, কর্মীদের চাকরবাকর ভাবলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য ঘিরে দলের অন্দরেই জল্পনা তুঙ্গে।

তৃণমূলের অস্তস্তি বাড়িয়েই চলেছেন রাজীব। কয়েক মাস ধরেই নাম না করে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজীব। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশকে বিঁধে তাঁর একাধিক মন্তব্যে শাসকদলের অন্দরে জল্পনা তৈরি হয়। এমনকী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেও জল্পনা তীব্র হয়। তবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তৎপরতায় প্রাথমিকভাবে সমস্যা মেটে।

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজীবের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আলোচনার মাধ্যমে রাজীবের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন পার্থবাবু। এমনকী তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন।

দিন কয়েক চুপ ছিলেন রাজীব। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি নতুন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা ২৪x৭। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করেছেন। তা নিয়েই নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রতিক্রিয়া মিলেছে তৃণমূলের তরফেও।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় রাজীবকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কর্মীদের চাকরবাকর ভাবলে একদিন ক্ষমতাচ্যুত হবেন। এখন অনেক নেতাই বাজারে বেরিয়েছেন, যাঁরা কর্মীদের ব্যবহার করার জন্যই শুধু তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। আর কাছে গেলে দুর্ব্যবহার করেন। আগামিদিনে সবাইকে গর্জে উঠতে হবে এর বিরুদ্ধে। যাঁরা মানুষকে বোকা ভাবেন, যাঁরা ভাবেন কর্মীদের অহঙ্কার দিয়ে, মিথ্যা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে, তাঁরা আগামিদিনে এই কর্মীদের দ্বারাই একদিন ক্ষমতাচ্যুত হবেন।’’

এদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য-সহ ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে মুখ খুলেছেন হাওড়া সদর তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী অরূপ রায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি।

অরূপ রায় বলেছেন, ‘‘প্রকাশ্যে এ কথা না বলে যে নেতা এই ধরনের ব্যবহার করেন তাঁর সম্পর্কে দলকে জানালে ভালো হত। তিনি নিজেও তো তাঁকে বলতে পারতেন, তোমার সম্পর্কে দলে কমপ্লেন আসছে, তুমি এই ব্যবহার থেকে বিরত থাকো। কারও কথাতেই কোনও প্রভাব পড়বে না। কাজই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*