দুই বিজেপি নেতার ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে সিবিআই তাঁকে টার্গেট করছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় একথাই বললেন প্রাক্তন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। গোটা ঘটনাটিকে তিনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে সিবিআই এর সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে বলে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কোনওরকম চরম পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এরপর শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
এরপর শনিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা দেয় সিবিআই। যেখানে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারির আবেদন করা হয়। সিবিআই জানায়, রাজীব কুমারকে অর্থ তছরুপ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জেরা করা হবে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এর আগে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ছিল।
এরপর গতকাল সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেন রাজীব কুমার। যেই হলফনামায় তিনি লেখেন, দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁকে টার্গেট করছেন। সম্প্রতি এই দুই নেতার একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়। যেখানে কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে টার্গেট করার কথা শোনা যায়। হলফনামায় তিনি আরও লেখেন, তদন্তে সিবিআই এর হঠাৎ পরিবর্তন এবং আমাকে টার্গেট করা আসলে দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ষড়যন্ত্র। যদিও এই বিষয়ে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-এর আবেদনের ভিত্তিতে পাল্টা জবাব দিতে অস্বীকার করেন রাজীব কুমার। প্রধান বিচারপতি রঞ্জয় গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়।
Be the first to comment