হাইকোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে শুক্রবার। গ্রেপ্তারির ইঙ্গিত দিয়ে গতকালই রাজীব কুমারের বাড়ি যায় সিবিআই । কিন্তু, তাঁর দেখা মেলেনি । বাধ্য হয়ে নোটিস দিয়ে আসেন আধিকারিকরা । শনিবার সকাল ১০ টায় তাঁকে তলব করা হয় । কিন্তু, আজও সিজিও কমপ্লেক্সে আসেননি রাজীব । এরপর দুপুর ৩টে নাগাদ বেরিয়ে পড়েন তদন্তকারীরা । সূত্র বলছে, রাজীবের খোঁজে বেরিয়েছেন তাঁরা ।
সকাল ১০টা -সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজীবের । তিনি আসেননি । অন্যদিকে, রাজীব কুমারের পার্কস্ট্রিটের আবাসন ঘিরে ফেলে কলকাতা পুলিশ । ডিসি পদমর্যাদার দু’জন অফিসার সেখানে ছিলেন ।
দুপুর ২টো নাগাদ তৎপর হতে শুরু করে সিবিআই। বিভিন্ন সূত্রে খবর মেলে, রাজীব কুমারের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামতে পারেন তদন্তকারীরা । রাজীব কুমার থাকতে পারেন এমন সব জায়গায় তাঁরা হানাও দিতে পারেন ।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সূত্রের খবর, সিবিআইকে ই-মেইল করেন রাজীব কুমার । সেখানে তিনি একমাস সময় চেয়ে নেন । জানান, তিনি ছুটিতে আছেন । যদিও সিবিআই আধিকারিকরা সরকারিভাবে মেইল পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ।
দুপুর ৩টে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক আধিকারিক গাড়ি নিয়ে বেরোন । তবে, তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন কাউকেই জানাননি । মা ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে গাড়ি চলে যায় নিজাম প্যালেসে ।
দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে মিনিট ১০ থাকার পর CISF ও নিজেদের আরও আধিকারিককে নিয়ে ফের রওনা দেয় সিবিআই-এর গাড়ি । এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমকে তাঁদের গাড়ি ফলো করতে নিষেধ করেন এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ।
বিকেল ৪টে নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বন্দেল রোড হয়ে বালিগঞ্জ প্লেসে পৌঁছান তদন্তকারীরা । সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী YJ দস্তুরের বাড়ি যান তাঁরা । সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত সেই সম্পর্কে আইনি পরামর্শের জন্যই আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন তদন্তকারীরা । আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে রাজীব কুমারের বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ।
Be the first to comment