রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জোরকদমে তল্লাশি

Spread the love

রাজীব কুমারকে ঘিরে নাটক চলছেই। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাজীব কুমারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন জনা পাঁচেক সিবিআই তদন্তকারী। সূত্রের খবর, কাউকে না জানিয়েই কার্যত হঠাৎ হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দেখা যায়, পার্ক স্ট্রিটে রাজীব কুমারের সরকারি আবাস্থলে ঢুকে পড়েছে সিবিআই-এর সাদা রঙের একটি গাড়ি। এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ছিলেন সিবিআই অফিসাররা। অথচ কেউ নাকি বুঝতেই পারেননি, যে তাঁরা সিবিআই আধিকারিক।

পরে বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরে বের করে দেয়। মনে করা হচ্ছে, রাজীব কুমারকাণ্ডে বুধবার ভিনরাজ্যের যে ১২ জন দুঁদে সিবিআই আধিকারিককে উড়িয়ে আনা হয়েছিল কলকাতায়, এদিন তাঁরাই অভিযান চালান। এই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে, ৪টি দলে ভাগ হয়ে শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। পাশাপাশি এদিন কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে ফের নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। ১৬০নং ধারায় বর্তমান এডিজি সিআইডি রাজীবকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এছাড়া কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে এদিন রাজীবের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন বেলা তিনটে নাগাদ ইএম বাইপাসের ‌উপরে রুবি মোড়ের এক পাঁচতারা হোটেলে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। সেই দলে কলকাতার সদস্যরা যেমন ছিলেন তেমনই ছিলেন দিল্লি থেকে আসা সিবিআইয়ের বিশেষ বাহিনী। হোটেলে ঢুকেই প্রথমে তাঁরা রিসেপশনে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই চলে যান হেঁশেলে। রান্নাঘর দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। এর পরে হোটেলের ভিতরে ঢুকে প্রতিটি ঘরে ঘরে চলে রাজীবের খোঁজ। তবে পাঁচতারা হোটেলে তল্লাশি অভিযান শেষে রাজীব কুমারের খোঁজে নিউটাউনের দিকে যায় সিবিআই।

এদিকে, ঠিক এই সময়েই রাজীবের খোঁজে আলিপুরের আইপিএস মেসে হানা দেয় সিবিআই-এর আরেকটি দল। সিবিআই-এর ৪ আধিকারিক বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিএস কোয়ার্টারে ঢোকেন। সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের সন্ধানে বুধবার থেকেই জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, আইনি রক্ষাকবচ সরতেই ‘বেপাত্তা’ রাজীব কুমার। এই শীর্ষ পুলিশকর্তাকে খুঁজতে চেষ্টার কম কসুর করছে না সিবিআই। রাজীবকে ধরতে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে অফিসারদের কলকাতায় উড়িয়ে এনেছে সিবিআই। বুধবারই দুপুরের পর ১২ জনের ওই সিবিআই দল কলকাতার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোয়। সূত্রের খবর, রাজীবের সন্ধান জোগাড় করাই ওই দলের প্রধান কাজ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*