দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে ছেলে। লাদাখে অনুপ্রবেশকারী চিনা সেনাকে মারতে মারতে মরেছে। মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবার এখন যোগ্য জবাব চায়। তাঁদের চোখের জলে শোকের চেয়েও প্রতিশোধের আগুন যেন বেশি। চিনা হামলায় শহিদ রাজেশ ওরাং ৷ শুক্রবার বেলগড়িয়া গ্রামে শেকৃত্যের প্রস্তুতি ৷
কৃষক পরিবারের ছেলে। কিন্তু চাষবাসে কোনওদিনই ইচ্ছে ছিল না। ছোট থেকেই সেনার জংলা পোশাক চোখ টানত। ভাল লাগত যুদ্ধের ছবি দেখতে। বড় হয়ে সেই স্বপ্নই আঁকড়ে ধরেন বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাং। সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটতে ছুটতেই শুক্রবার শহিদের স্বীকৃতি রাজেশের নামের পাশে।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনুপ্রবেশকারী চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে, সিক্সটিন বিহার রেজিমেন্টের যে কজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন এরাজ্যের রাজেশ। মঙ্গলবার বিকেলে ছেলের মৃত্যুর খবর পায় ওরাং পরিবার। তারপর থেকেই চোখের জল থামার নাম নেই।
এদিন মহম্মদবাজারের তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনবন্দি শহিদ রাজের দেহ ৷ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ৷ গোটা গ্রামে শোকের নেমে এসেছে শোকের ছায়া ৷ শহিদ রাজেশকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল সেনা ৷
Be the first to comment