ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে খেজুরতলা এলাকায় প্রচার মিছিল করতে এসে পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা শাহনাজ হোসেন। পুলিশের বক্তব্য, রবিবারের এই প্রচার মিছিলের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মিছিল আটকাতে নামে বিশাল পুলিশ ও RAF।
ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে কোনা এক্সপ্রেস এর ওপর জড়ো হন । সঙ্গে ছিলেন বিহারের মন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা শাহনাজ হোসেন। ওই দুই নেতা যখন দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে সর্দার পাড়ার দিকে এগোতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। ডোমজুড় থানার পক্ষ থেকে আগে থেকেই সর্দার পাড়ার মুখে ব্যারিকেড করে দেয়। ঘটনাস্থলে নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং RAF।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। এরপর ওই দুই নেতা দলীয় সমর্থকদের নিয়ে ব্যারিকেডের সামনে ধর্নায় বসে যায়। আধ ঘন্টার উপর চলে ধর্না। আবার বেশ কিছু বিজেপি কর্মী পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। অবরোধের জেরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে পুলিশ তাদের মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন । বিজেপি নেতা শাহনাজ হোসেন বলেন, ‘কাশ্মীরের উপদ্রুত এলাকাতেও তার চলাফেরা কোন বাধা দেওয়া হয়নি । কিন্তু এখানে নির্বাচনী প্রচারে একজন প্রার্থীকে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেরকম তিনি কোথাও দেখেননি। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনকে গোটা ঘটনা জানাবেন।’
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা সমস্যা দেখা দিতে পারে এই কারণেই এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পুলিশ অবজারভারকে ব্যাপারটা জানানো হয়েছএ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ।
Be the first to comment