লাইভে এলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যুবসমাজকে তাঁর বার্তা, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ো না। রাজীবের বহু প্রতীক্ষিত ফেসবুক লাইভের নির্যাস, দলের ভুলই শুধরে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। দলবদল করছেন কি করছেন না, এক কথায় উত্তর না দিলেও রাজীবের বার্তা, মানুষের জন্য কাজ করতে যা করার তাইই করবেন।
শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জনগণের প্রতিনিধি রাজীব বার্তা দেওয়া শুরু করেন। জনতার দরবারে অবতীর্ণ হয়েই তাঁর মুখে এল স্বামী বিবেকানন্দের নাম। রাজীব বলছিলেন, যুবসমাজ পথ দেখাতে পারে। আর এই যুবসমাজের অনুপ্রেরণা হতে পারেন স্বামীজী।
রাজীবের যুক্তি, জীবনের শুরুতে ‘আত্মনির্ভর’ হতে চেয়েছিলাম। আজকের যুবসমাজও এমন একজনকে চাইছে যে যুবসমাজকে পথ দেখাবে। পাশে দাঁড়াবে। রাজীবের কথায় স্পষ্ট, সেই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হতে চাইছেন তিনি।
রাজীব এদিনও বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। বাংলার বুকে কর্মসংস্থানটাই আমার মূল লক্ষ্য। যাতে একটা কাজের পরিবেশ তৈরি হয়, আইটি সেক্টরকে ডেকে আনা যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করব। কিন্তু এই লক্ষ্যপূরণ কি পুরনো জার্সি গায়েই করবেন নাকি জার্সিবদল নিশ্চিত?
রাজীব জানান, কেউ বলতে পারবেন না দলের কর্মীরা আমার থেকে অসম্মান পেয়েছে। আমার দলনেত্রীও এই একই কথা বলেন। কিন্তু কখনও দেখা যায় সেই কথা রাখা হয় না। কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে মুখ খুলেছি, সেটাকে অন্যায় মনে করি না।
ক্ষুব্ধ রাজীবে সুস্পষ্ট বার্তা বেশ কিছু নেতা আমার ভালো কাজকে অপব্যখ্যা করছে। মানুষ যেখানে চাইবে আমি সেখানেই থাকব। মাছ যেমন জলে সাবলীল, রাজীব মানুষের মধ্যে সাবলীল। কথায় কথায় রাজীব মনে করিয়ে দিলেন, দলনেত্রীর আদর্শও আমার আদর্শ ছিল। তাঁর দেখানো পথেই কাজ করে গিয়েছি। কিন্তু অনেক সময় দেখা গিয়েছে ভুল বোঝানো হচ্ছে বারবার।
আজ তাঁর বেসুরো মন্তব্য নিয়ে আলোচনা, সর্বত্র। সেটাকেও ভালো ভাবে নিচ্ছেন না রাজীব। বলছিলেন, আমার কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হচ্ছে অপব্যখ্যা নিয়ে। আমাকে দুঃখ দেয় এই ঘটনাটা।
এর পরেই রাজীবের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা, আশা করি আমার কথা বুঝতে পারলেন আমি কী বলতে চাইছি। রাজীবের বক্তব্যে পরিষ্কার, আগামী দিনে যে পথে গেলে মানুষের কাজ করা যাবে সে পথেই যাবেন।
তবে শুধু রাজনীতি না, কাজে গতি আনতেও এদিন দাওয়াই দিলেন রাজীব। বললেন, আজকে যুবসমাজ চাকরি পাচ্ছে না, বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের রাজ্যে যে সম্পদ আছে, মেধা আছে তা অন্য বহু রাজ্যেই নেই। আমার তাঁদের দেখে খারাপ লাগে। যুবসমাজের অনেকেই বুঝতে পারে না, কী ভাবে প্রস্তুতি নেবে।
রাজীব বলেন, একটা বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার খুলেছেন তিনি। যেখানে ইন্টারভিউ বোর্ডের মোকাবিলা থেকে শুরু করে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি সবটাই শেখানো হবে।
Be the first to comment