নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বিস্ফোরক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

নন্দীগ্রাম নিয়ে ফের তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এবার নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে বোমা ফাটালেন ঘর ওয়াপসি করা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ভোট স্বচ্ছ হয়নি। এমনটাই দাবি রাজীবের। শুভেন্দু অধিকারী নাকি তাঁকে গণনার দিন বিকেলেই জানিয়েছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন । তারপরও জিতলেন কী করে? প্রশ্ন তুলে দিলেন হাওড়ার দাপুটে নেতা। এবার নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে একেবারে ‘নতুন কথা’ রাজীবের গলায়। নন্দীগ্রামে ফের ভোট করানোর দাবিতে সরব হলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, কারচুপি করে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার বিকেলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আজ দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। নন্দীগ্রামের কথা উনি (শুভেন্দু অধিকারী) বার বার বলেন। আমিও সেই সময় ভারতীয় জনতা পার্টিতে ছিলাম। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, নন্দীগ্রামের ভোট কতটা স্বচ্ছ হয়েছে! বাংলার মানুষ জানে, নন্দীগ্রামের ভোট কীভাবে হয়েছে। নন্দীগ্রামের ভোট স্বচ্ছ হয়নি। যেদিন ফলাফল ঘোষণা হয়, তিনি নিজে আমায় বিকেলে ফোন করে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন। তারপর কোন জাদুবলে আবার নন্দীগ্রামে তিনি জিতলেন? হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে, আমরা চাই এর বিচার হোক, যাতে হয় পুনরায় নির্বাচন নাহলে পুনরায় ভোট গণনা হোক। তাহলেই কী আছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও তৃণমূল এমন অভিযোগ তুলেছিল এবং সেই জল আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল বদলের পর সেই প্রসঙ্গকে ফের একবার উস্কে দিলেন। নন্দীগ্রামের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার প্রথম দিন থেকেই নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরপর শনিবার বিকেলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সদ্য জার্সি বদল করা জয়প্রকাশ মজুমদার, উভয়েই দাবি করেন তাঁদের কাছে খবর ছিল শুভেন্দু অধিকারী হেরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী নিজে নাকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন যে তিনি হেরে গিয়েছেন।

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা প্রলয় পাল জানিয়েছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও রাজনৈতিক বিশ্বস্ততা নেই। তিনি নিজেই এখনও পর্যন্ত নিজের এলাকায় ঢুকতে পারেননি অথচ তিনি ত্রিপুরা থেকে তৃণমূল করছেন। তিনি যেভাবে মিথ্যা কথা বললেন যে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ফোন করে বলেছিলে তিনি হেরে গিয়েছেন। তাঁর মতো এত বড় মিথ্যাবাদী বোধ হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে আছে বলেই সম্ভব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আর কিছু না হোক, এটাকে রপ্ত করেছেন। তিনি ত্রিপুরায় তৃণমূল করছেন করুন। কিন্তু এভাবে মিথ্যা কথা বলে বাংলার জনগণকে যেন বিব্রত না করেন।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*