বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বেসুরো ছিলেন। এখনও হলেন। তখন অবশ্য পোস্টার পড়েছিল তাঁর সমর্থনে। এখন পোস্টার পড়ল তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমান দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট করতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত পোস্টারে ছেয়ে গেল ডোজজুড়। ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’ তকমা দিয়ে তাঁকে দল না ফেরানোর জন্য জোরাল দাবি উঠল।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গলবারের ফেসবুক পোস্টের পর এবার ডোমজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। বুধবার সকালে সলপ বাজার এলাকায় ওই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে লেখা, ‘বিশ্বাসঘাতক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন দলে ফেরানো না হয়।’ পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। ভোটের আগে প্রাক্তন দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতেই ‘দাদার অনুগামী’রা রাজীবের সমর্থনে দেওয়াল লিখন, পোস্টার লাগাতে শুরু করেন। কিন্তু, এখন রাজীবের উপর খড়গহস্ত তৃণমূল। দলের কর্মীবৃন্দের তরফে ডোমজুড় ছেয়ে ফেলা হয়েছে রাজীব বিরোধী পোস্টারে।
ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থী হলেও ভোটে পরাজিত হন। এরপর বুধবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেসুরো ফেসবুক ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়। যা নিয়ে তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘দলে বিশ্বাসঘাতকদের জায়গা নেই। তবে উৎপল দত্ত বেঁচে থাকলে এই অভিনয় দেখে লজ্জা পেতেন।’ এই মন্তব্যের ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরই রাজীবকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে দলে না ফেরানোর দাবি জানাল তৃণমূল কর্মীরা।
ফেসবুক পোস্টে BJP-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস এই দুই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।’ বেসুরো রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত জোরাল হতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই বিতর্কিত পোস্টার জল্পনা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment