মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে আপ্লুত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়‘বলেন, ‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এটা প্রত্যাশিত ছিল। আমার তরফে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ‘ফুল বদল’ করেছিলেন রাজীব। একুশের নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে লড়াই করলেও জয়ী হতে পারেননি তিনি। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজীবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবিরের। তাঁর ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের জল্পনাও জোরাল হয়। যদিও তিনি দল পরিবর্তন করেননি। তবে বর্তমানে বিজেপিতে তাঁর অবস্থান ঠিক কী, তা স্পষ্ট নয়।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা। এমনকী, নিজের জয়ের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজীব। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী দেওয়া উচিত হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিধানসভায় ২১৩টি আসন তৃণমূলকে দিয়েছে রাজ্যের বাসিন্দারা। এক্ষেত্রে সৌজন্যে দেখিয়ে ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়া উচিত ছিল বিজেপি-এর’ অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা শোনা গিয়েছে রাজীবের কন্ঠে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘তিনি অনেক বড় মাপের নেতা কিছু বলব না। কিন্তু, যাঁকে দেখে বাংলার মানুষ ২১৩টা আসনে তৃণমূলকে জিতিয়েছে, তাঁকে ভোটের সময় খালা, বেগত সহ যে সমস্ত সম্বোধন করা হয়েছিল, তা ঠিক নয়। সেই সময়ই আমি প্রতিবাদ করেছিলাম।’
এদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও ক্রমশ কোনঠাসা রাজীব। তাঁকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় না। এমনকী, ভবানীপুর উপ নির্বাচনের আগে বিজেপি হেস্টিংস অফিসে রাজীবের জন্য বরাদ্দ ঘর থেকে তাঁর নেমপ্লেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ঘরটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। হেস্টিংস কার্যালয়ের ৮১১ নম্বর ঘরটি থেকে ভবানীপুর উপনির্বাচনের সমর কৌশল সাজাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে রাজীবের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পরেও ফের একবার তাঁর দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি ফের একবার তৃণমূলে ফিরে আসতে চলেছেন তিনি! যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তবে কোন মত-পথ এবং ‘রাজনৈতিক রথ’-এ থাকছেন রাজীব? এই প্রশ্ন নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে নতুন করে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
Be the first to comment