১১ই নভেম্বর শুক্রবার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয় জন আসামিকে মুক্তির আদেশ দেয় আদালত। তামিলনাডুর শ্রীপেরুমবুদুরে ১৯৯১ সালের ২১শে মে এলটিটিই -র এক আত্মঘাতী সদস্যার বোমা হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। সেই হামলাকারী নিজ ধান একটি নির্বাচনে জনসভায় রাজি বনা জানা ছলে নিজের গায়ে আটা বোমার ট্রিগার টেনেছিলেন। সেই ঘটনাস্থলে রাজীব গান্ধী ও মিজ ধানু সহ আরও ১৬ জন মারা গিয়েছিলেন এবং ৪৫ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
এলটিটিই -র আত্মঘাতী দলের একমাত্র জীবিত সদস্য নলিনী শ্রীহরণ এবং তার স্বামী মি মুরুগান শুক্রবারের নির্দেশ অনুযায়ী মুক্তি পেলেন। ১৯৯০ সালে মি মুরুগান ও মি. সান্থান এই দুই শ্রীলংকার নাগরিক উদ্বাস্তু হিসেবে তামিলনাড়ুতে এসেছিলেন। অভিযুক্ত ২৬জন আসামীর প্রত্যেকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। ২০০০ সালে নবী স্নেহরণকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন রাজীব পত্নী সোনিয়া গান্ধী। সে সময় আদালত আসামীদের আর্জি ঝুলে থাকার যুক্তি দেখিয়েছিলেন।
প্রায় তিন দশক ধরে আটক এই আসামীরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তির জন্য ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে গেছেন। ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভা, রাজ্যপালের কাছে এই আসামীদের মুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। শুক্রবারের রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট দুই সদস্যের বেঞ্চ উল্লেখ করেছেন যে দোষীরা জেগে থাকার সময় চায় পড়াশোনা করেছেন তাদের ব্যবহার যথেষ্ট ভদ্র। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস দল।
Be the first to comment