করোনা সংক্রমণে এই রাজ্যের এপিসেন্টার তিন জেলা। নবান্নে বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে যে তথ্য মিলেছে তাতে জানা গিয়েছে কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনাতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই এই তিন জেলার। বাকি জেলাগুলির মোট আক্রান্ত ১২ শতাংশ।
এদিন মুখ্যসচবি রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গতকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভের সংখ্যা ছিল ৫২২। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৫ জন। নতুন আক্রান্ত ৩৩ জন। অর্থাৎ, এখন রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি।
নবান্নের তরফে প্রতিদিন যে তথ্য দেওয়া হয় তাতে কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১৮০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিন সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৩৯৭টি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৬২০টি।
এদিন মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, এখন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৪৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪১৫ জন। নবান্নের তথ্য বলছে, রাজ্যে মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশ পুরুষ আর ৩৬ শতাংশ মহিলা। এটাও দেখা গিয়েছে যে আক্রান্তদের ৫০ শতাংশেরই বয়স ৪৫ এর বেশি। এই তথ্য জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, “রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ যাঁদের বয়স বেশি এবং কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁরা একেবারেই বাড়ি থেকে বের হবেন না।”
পাশাপাশি এদিন রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে ৬৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার জন্য ৮ হাজার বেড রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ বেডই রয়েছে কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায়।
বাংলার সাম্প্রতিকতম আপডেট
➡️ অ্যাক্টিভ কেস – ৫৫০
➡️ গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা – ২৮
➡️ মোট টেস্ট এর সংখ্যা – ১৪,৬২০
➡️ গত ২৪ ঘন্টায় টেস্ট হয়েছে – ১৩৯৭ (এখনও পর্যন্ত দৈনিক সর্বোচ্চ)
➡️ সুস্থ হয়েছেন – ১২৪
➡️ কোভিড এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা – ২২
➡️ কো-মরবিডিটির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা – ৩৯ (সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী)
➡️ ৮৮% কেস এসেছে ৩ টি জেলা থেকে, ১২% কেস এসেছে বাকি জেলাগুলি থেকে
➡️ বাংলায় কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রতি লাখে বেড রয়েছে ৮৭। জাতীয় গড় ৮৫
➡️ আজ কোটা থেকে প্রায় ২৫০০ জন ছাত্রছাত্রীকে আনা হচ্ছে
➡️ আগামী ৪ঠা মে থেকে সবরকম প্রটোকল মেনে গ্রিন জোনে কারখানা খোলা যেতে পারে
➡️ ছোট দোকান, স্টেশনারি ও বইয়ের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, হার্ড ওয়ারের দোকান ইত্যাদি খোলা যেতে পারে
➡️ আগামী ৪ ঠা মার্চ থেকে গ্রিন জোনে বাস পরিষেবা চালু হতে পারে। তবে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না
➡️ ডাক্তাররা সবরকম সাবধানতা মেনে নিজেদের চেম্বার খুলতে পারেন
➡️ গ্রিন আর অরেঞ্জ জোনে ট্যাক্সি পরিষেবা চালু হতে পারে, তবে ৩ জনের বেশি প্যাসেঞ্জার ট্যাক্সিতে নেওয়া যাবে না
➡️ হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ঘটনা কাম্য নয়। বাংলার ৫৮২ টি পুলিশ স্টেশনের মধ্যে একটি পুলিশ স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে।পুলিশকে যথাসম্ভব কঠোরতর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে
➡️ এই পরিস্থিতিতে সকলের কাজের চাপ প্রচুর, তার মধ্যে ভুল ত্রুটি হতেই পারে। সেই ভুল ত্রুটিগুলোকে তুলে ধরে কুৎসা রটানো হচ্ছে, যে ভালো কাজগুলো হচ্ছে সেগুলোর কথা কেউ বলছেন না
রেড জোনে ৪ টি জেলা
১.হাওড়া
২.কলকাতা
৩.উত্তর ২৪ পরগনা
৪.পূর্ব মেদিনীপুর
অরেঞ্জ জোনে ১১ টি জেলা
১.দক্ষিণ ২৪ পরগণা
২.হুগলি
৩.পশ্চিম মেদিনীপুর
৪.পূর্ব বর্ধমান
৫.পশ্চিম বর্ধমান
৬.কালিম্পং
৭.নদিয়া
৮.দার্জিলিং
৯.জলপাইগুড়ি
১০.মালদা
১১.মুর্শিদাবাদ
গ্রিন জোনে ৮ টি জেলা
১.আলিপুরদুয়ার
২.কোচবিহার
৩.উত্তর দিনাজপুর
৪.দক্ষিণ দিনাজপুর
৫.বীরভূম
৬.বাঁকুড়া
৭.পুরুলিয়া
৮.ঝাড়গ্রাম
Be the first to comment