উরি হোক বা গালওয়ান। দেশের বহু সামরিক অভিযানের তথ্য গোপন রাখা হয় অনেক সময়। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হয়। তবে এই সব সামরিক অভিযান, ঘটনা, অপারেশন নিয়ে কৌতুহলের অন্ত থাকে না দেশের জনগণের মধ্যে। সেই কৌতুহল এবার থেকে মিটবে। পালটে দেখা যাবে ইতিহাসের পাতা। কারণ এবার যুদ্ধ এবং সামরিক অভিযান সংক্রান্ত গোপন তথ্য ডিক্লাসিফাই বা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনুমতি দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
দেশের যুদ্ধ বা যুদ্ধের মতোই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপের যাবতীয় তথ্য গোপন না রেখে জনসাধারণকে জানানো আর প্রকাশ করা নিয়ে নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর আগে এই সব তথ্য মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কার্গিল রিভিউ কমিটির প্রধান কে সুব্রাহ্মণিয়ম ও এনএন ভোরা কমিটি।
শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা দেশের ২৫ বছরেরও আগের যুদ্ধ ও কার্যকলাপ সংক্রান্ত তথ্য মূল্যায়ন করবেন। এর পর তা সংকলন করে পাঠিয়ে দেবেন দেশের জাতীয় সংরক্ষণাগারে। এখন থেকে দেশের যুদ্ধের ইতিহাসের সংরক্ষণের কাজে অন্যান্য বিভাগগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইতিহাস বিভাগ। এই কমিটির প্রধান হবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একজন যুগ্মসচিব। দেশের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সামরিক বাহিনী, বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও এই কমিটিতে থাকবেন।
১৯৪৭-৪৮ সালে হওয়া কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের তথ্য ডিক্লাসিফাই করা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। তবে ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধে হেনডেরসন ব্রুকস রিপোর্ট এখনও গোপন রাখা হয়েছে। আশা করা যায়, নয়া নীতির ফলে সেসব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হবে। আর তার ফলে জনসাধারণ দেশের অনেক গোপন তথ্য জানতে পারবেন।
Be the first to comment