অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের জন্য জাতিগত শংসাপত্র এবং প্রয়োজনে ধর্মীয় শংসাপত্রও জমা দিতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের ৷ আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের টুইটের পর বিরোধী শিবির থেকে ক্রমশ কটাক্ষ ধেয়ে আসছিল। তারপরে মঙ্গলবার আসরে নামলেন রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ‘এটা গুজব’।
জওয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অগ্নিবীর নিয়োগেও এর কোনও পরিবর্তন হয়নি, জানিয়েছেন এক সেনা আধিকারিক ৷ বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলেছে, এখন অগ্নিবীর প্রকল্পে চাকরি পেতে গেলে প্রার্থীদের এই শংসাপত্রগুলি জমা দিতে হবে। এ প্রসঙ্গেই রাজনাথ সিং বলেন, এটা গুজব ৷ স্বাধীনতার আগে থেকে যে পদ্ধতি চলে আসছে, তাই চলছে ৷ কোনও পরিবর্তন হয়নি। পুরনো পদ্ধতিতেই কাজ হচ্ছে ৷
আজ সকালে এ নিয়ে টুইট করেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং ৷ তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ওয়েবসাইট থেকে অগ্নিবীর প্রকল্পে আবেদন করার নির্দেশিকা পোস্ট করেন ৷ তাতে জাতিগত শংসাপত্র, ধর্মীয় শংসাপত্রের উল্লেখ রয়েছে। সেই জায়গাটি লাল রঙের বর্ডার দিয়ে ছবিটি নেটমাধ্য়মে পোস্ট করে তিনি লেখেন, মোদি সরকারের জঘন্য চেহারাটা দেশের সামনে এসেছে ৷ মোদিজি কি দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, আদিবাসীদের সেনায় ভর্তির যোগ্য বলে মনে করেন না? ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার ‘সেনা ভর্তিতে’ জাত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এর সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করেন, “মোদিজি, আপনি ‘অগ্নিবীর’ তৈরি করতে চান, নাকি ‘জাতিবীর’?
গতকাল রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে একটি নোটিসও পাঠিয়েছিলেন আপ সাংসদ ৷ এ বছর জুন মাসের মাঝামাঝি অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (স্থল, জল, বায়ু) স্বল্প মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ৷ এরপর দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ বিভিন্ন রাজ্যে ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে গুলি চালানো ৷ এমনকী তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে এক জওয়ানপ্রার্থী পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৷ তারপরও অগ্নিবীর প্রকল্পে আবেদন জমা পড়েছে ৷ এমনকী প্রি-ট্রেনিংও শুরু হয়ে গিয়েছে ৷
Be the first to comment