বিরোধী বিক্ষোভে অচল সংসদ, সহযোগিতা চেয়ে সুদীপকে ফোন রাজনাথের

Spread the love

বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ঠিকই। তবে শাসকদলের বেপরোয়া মানসিকতার জেরে বেঁকে বসেছে বিরোধীরাও। মণিপুর ইস্যুতে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না দিচ্ছে INDIA জোটের শরিকরা। চলছে লাগাতার আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। এহেন পরিস্থিতিতে সংসদ কীভাবে চলবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শাসকদল। বিরোধীদের মানভঞ্জনে এবার লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন রাজনাথ সিং।

জানা গিয়েছে, সকালেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাজনাথ সিং। বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে সংসদ চালাতে তাঁকে সহযোগিতার আবেদন জানান। তবে সুদীপবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি না দিলে সুর নরম নয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “আমাদের যে INDIA জোট আছে, সেই জোটের নেতারা সবাই মিলে যা ঠিক করেছেন, সেই কর্মসূচি আমরা চালাব। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা বিরোধীদের কিছু অন্যায় দাবি নয়। আর বাংলার সঙ্গে মণিপুরের তুলনা করা হচ্ছে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, দেশের মধ্যে ভাল, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে ভাল। কিন্তু মণিপুরের অবস্থা এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। সেখান থেকে বাঁচতে বারবার বিজেপি বাংলার নাম টেনে আনছে।” তবে জানা গিয়েছে, শুধু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নন বিরোধী দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে ফোন করে সংসদের সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালেও সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর লোকসভার মধ্যেও তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২টা পর্যন্ত তিনি ওয়েলেই ছিলেন। বাইরে ধরনা কর্মসূচি থেকেই সোজা তিনি অধিবেশনে যোগ দেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলার পরিস্থিতির সঙ্গে মণিপুরের তুলনা হয় না। বাংলায় ইন্টারনেট সার্ভিস কখনও বন্ধ হয়নি। মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারেও এই অবস্থা? আবার বিজেপি চায়, বাংলা, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হোক। একই অবস্থা তৈরি হয় রাজ্যসভাতেও। মণিপুর ইস্যুতে সরব হয়ে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*