একদিকে যেমন চলছে জঙ্গি নিকেশ অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। একাহাতে দু’দিকে সামাল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। তবে বুধবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষবিরতিতে বৃহস্পতিবার এক শহিদ হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্রে।
এদিকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পাকিস্তান কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে। মাঞ্জাকোট সেক্টরে রাত ১০টা ২০ নাগাদ, কেরি সেক্টরে রাত ১০টা ৪০ নাগাদ, বালাকোট সেক্টরে রাত ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ, ক্যারোল মইত্রান সেক্টরে রাত ১০টা ৫০ নাগাদ সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ পুঞ্চ জেলার পুঞ্চের মানকোট সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনিকে লক্ষ্য করে গোলা-গুলি চালাতে থাকে। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলতে থাকে।
সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বিনা প্ররোচনায় পুঞ্চের মানকোট সেক্টরে ভারতীয় সেনা চাউনিকে লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার শেল ছুড়তে থাকে পাকসেনা। মর্টারশেল ফাটানোর পাশাপাশি লাইন অফ কন্ট্রোলে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও।
সোমবার উপত্যকার শোপিয়ানে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত চার মুজাহিদিন। ওই দিন শোপিয়ানের পিঞ্জোরা এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে জঙ্গিদের একটি দল। এর পরেই গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাতে শুরু করে সেনা। পালটা গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরাও।
টানা অপারেশনের পর আরও বিস্তারিত তথ্যে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, শেষ দুই সপ্তাহে তা নয়টি বড় অপারেশন চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। এখনও অবধি সবক’টি অপারেশনে ২২ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং আরও জানিয়েছেন, ২২ জন জঙ্গির মধ্যে ছয়’জন টপ কম্যান্ডার রয়েছেন। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদে একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর চলতি বছরে যতবার হামলা হয়েছে জঙ্গিদের, প্রত্যেক বারই দেখা গিয়েছে হয় ব্যর্থ হয়েছে, নয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হয়েছে। সেনা বলছে জঙ্গিদের হামলা ধরণে স্পষ্ট চাপ রয়েছে অপরিকল্পিত পদ্ধতির। যেটা আগে ছিল না।
Be the first to comment