গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে সংসদে উস্কানিমূলক মন্তব্য রাজু সিং বিস্তের

Spread the love

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তারপর তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এবার বাদল অধিবেশনে সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের দাবি না তুলেও বিতর্কিত ইস্যুতে ধোঁয়া দিতে দেখা গেল দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তকে। তাঁর ভাষণে গোর্খাদের প্রতি অন্যায়, অবিচারের কথা বারবার উঠে এসেছে। সেখানে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাই এই মন্তব্য পরোক্ষে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে উস্কে দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

এদিন রাজু বিস্তা পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের অনুন্নয়ন এবং গোর্খাদের জাতিসত্ত্বা নিয়ে সওয়াল করেন তিনি। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‌এই নানা সমস্যার কারণেই পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। পৃথক রাজ্যের দাবি কেবল উন্নয়নের স্বার্থে নয়, দেড় কোটি গোর্খার সত্ত্বাও তার সঙ্গে যুক্ত। এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে আমাদের দল বিজেপিও স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আমার আবেদন, এই প্রক্রিয়া যেন তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়।’‌

এই মন্তব্য করে ঘুরপথে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে উস্কে দিলেন? রাজু বিস্তকে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি করতে শোনা যায়নি। বরং নেপথ্যে থাকা যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিতে শোনা গিয়েছে। সেখানে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আবেদন জানাতে শোনা গিয়েছে। স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান কী?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই সাংসদের দাবি অত্যন্ত সুকৌশলী বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের বা পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন। যে দাবিকে সাংসদ নিশীত প্রামাণিক সমর্থন করেছিলেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার মুখে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও ইঙ্গিত সেদিকেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। এই পরিস্থিতিতে রাজুর মুখে এই ভাষণ আরও বিষয়টিকে উস্কে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*