জামিন পেলেন। কিন্তু স্বস্তি পেলেন না গুরমিত রাম রহিম সিং। ৪০০ সাধুকে জোর করে নির্বীজকরণের মামলায় স্বঘোষিত গডম্যান রাম রহিমকে জামিন দিল পাঁচকুলা সিবিআই কোর্ট। যদিও ধর্ষণের অভিযোগে তার ২০ বছরের কারাদণ্ড একই ভাবে বহাল রইল।
৪০০ সাধুকে জোর করে নির্বীজকরণের অভিযোগে রাম রহিম সিং-সহ আরও দু’জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করে সিবিআই৷ ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান রাম রহিম ইতিমধ্যেই ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত৷ রাম রহিমের পাশাপাশি দুই চিকিৎসক পঙ্কজ গর্গ এবং এম পি সিং-এর বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হয় পাঁচকুলার বিশেষ আদালতে৷
আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, সিরসা ডেরার সাধু-শিষ্যদের জোর করে নির্বীজকরণ করানো হত৷ এর আগে রাম রহিমের ডান হাত ডাক্তার মহিন্দর ইনসানকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ তাঁর সাহায্যেই ডেরার শিষ্যদের অপারেশন করে তাঁদের নির্বীজকরণ পর্ব চলত৷ পাঁচকুলা সংঘর্ষেও নাম জড়িয়েছিল ওই চিকিৎসকের৷
এর আগে রাম রহিমের প্রাক্তন গাড়িচালক খট্টা সিং বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন৷ মহিলাদের যৌন শোষণ থেকে পুরুষদের নির্বীজকরণের গোপন কাজ ফাঁস করেছিলেন এই খট্টা সিং৷ ডেরা সচ্চা সওদার সাধু হংসরাজ চৌহান ২০১২ সালের ১৭ জুলাই হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করে সাধুদের উপর হওয়া এই অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন৷
তিনি জানান, ডেরা প্রধানের ইশারাতেই ডেরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল সাধুদের এই অপারেশন করছে৷ ১৬৬ জন সাধুর নামও বলেন তিনি৷ হংসরাজ জানিয়েছিলেন, রাম রহিমের আশ্রমে প্রার্থনার পর নেশার ক্যাপসুল দেওয়া হত৷ এর পর সেই ব্যক্তির সঙ্গে কী হত, তা সেই ব্যক্তিও নিজেও টের পেতেন না৷
Be the first to comment