বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করেও খতিয়ে দেখার সময় চাইলেন স্পিকার

Spread the love

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র জমা নিলেন স্পিকার ৷ কিন্তু বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চাইলেন কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমার ৷ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আজ অর্থাত্‍‌ বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টার মধ্যে বিধায়কদের সশরীরে স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফা জমা দিতে হবে ৷ মধ্যরাতের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে স্পিকারকে ৷ শুক্রবার স্পিকারের সিদ্ধান্ত শুনবে শীর্ষ আদালত ৷

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে স্পিকার রমেশ কুমার বললেন, আমি ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছি ৷ ইস্তফাপত্রগুলি খতিয়ে দেখার জন্য সময় লাগবে ৷ তবে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ডেডলাইন শেষ হলেই ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ৷

রমেশ কুমার বলেন, গত ৬ জুলাই, আমি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমার চেম্বারে ছিলাম ৷ বিধায়করা আসেন দুপুর ২টোয় ৷ তাঁরা আগে থেকে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্টও নেননি ৷ সুতরাং ওঁরা আসবে শুনেই পালিয়ে গিয়েছি, এটা সত্যি নয় ৷ কিছু নিউজ চ্যানেল দেখলাম বলছে, আমি নাকি ইচ্ছে করে দেরি করছি ৷ রাজ্যপাল আমায় গত ৬ জুলাই জানান ৷ আমি ততক্ষণ অফিসেই ছিলাম এবং তারপর আমি ব্যক্তিগত কাজে বেরই ৷ তার আগে কোনও বিধায়ক আমার কাছে আসেননি ৷ স্পিকারের দাবি, ৮টি ইস্তফাপত্রের ফরম্যাট ঠিক নেই ৷

এদিকে বৃহস্পতিবার একপ্রস্থ নাটক হয়েছে মুম্বইয়ের হোটেলে ৷ ওই হোটেলেই রয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ৷ কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার দেখা করতে যান ওই বিধায়কদের সঙ্গে। নিজের নামে হোটেলের একটা ঘর বুক করেন ৷ শিবকুমার গেটে পৌঁছতেই বাধা দেওয়া হয়। স্লোগান ওঠে, শিবকুমার গো ব্যাক। মুম্বই পুলিশের বাধায় সেই হোটেলে পৌঁছতেই পারেননি তিনি। পুলিশ আটক করে শিবকুমারকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*