আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ বগটুই কাণ্ডে বৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারির পর ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ ৷ আজ গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের নাম রীতম শেখ ৷ সে বগটুই গ্রামেরই বাসিন্দা। বগটুই গ্রামে ৯ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ২১ জনের নামে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এফআইআর লিস্টে নাম না থাকলেও এই ঘটনায় রামপুরহাট ১ নং ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তেভার নেয় ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বগটুই গ্রাম থেকে সমীর শেখকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে তাদের মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা মুম্বইয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বগটুইয়ে আগুন লাগিয়ে গণহত্যার ঘটনায় এদের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধেয় রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই সময় পিছন থেকে এসে বোমা মেরে তাঁকে খুন করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। উপপ্রধানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম ৷ ওইদিন সোমবার রাতে বগটুই গ্রামের ৮-১০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরের দিন একটি বাড়ি থেকেই সাতজনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট দমকল বাহিনী। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও দু’জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিট গঠন হয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত আরম্ভ হয়। কিন্তু তিন দিন পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
৮ এপ্রিল রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। বুধবার, ১৩ এপ্রিল আনারুল হোসেনকে পলিগ্রাফ পরীক্ষার সম্মতির জন্য রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। সিবিআই তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে চান বলে জানান আনারুল ৷ বিচারক আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তার পলিগ্রাফ পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
Be the first to comment