রামপুরহাট হত্যাকান্ডের নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুই কান্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর এগোল? জানতে চেয়ে নবান্নে ফিরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ফোন করেছেন এডিজি সিআইডি ও সিটের প্রধান জ্ঞানবন্ত সিংকেও।
নবান্ন সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার পূর্বঘোষিত এক কর্মসূচিতে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দোষীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। এরপর নবান্নে ফিরে প্রথমেই তিনি ফোন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। তদন্তের গতি কোন দিকে এগোচ্ছে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্তমানে কী রয়েছে, সেই সব বিষয়ে জানতে চান তিনি। এরপরই তিনি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে থমথমে পরিবেশ থাকলেও আতঙ্কে ঘরছাড়া হচ্ছে না। বগটুই গ্রামের বীভৎসতার পর থেকেই বেশ কিছু খবর আসছিল নবান্নে যে, আতঙ্কে মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এই খবর ছড়াতেই জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের তরফে সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নবান্নে এসে পৌঁছেছে এবং সেখানে বলা হচ্ছে, বকটুই গ্রামের মানুষরা ঘরছাড়া হচ্ছেন না। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছিলেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
জানা গিয়েছে, গ্রামে দু’টি পাড়া রয়েছে – পূর্বপাড়া এবং পশ্চিম পাড়া। পূর্বপাড়ায় দু’টি গ্রাম সংসদ রয়েছে এবং পশ্চিমপাড়ায় একটি গ্রাম সংসদ রয়েছে। তিনটি গ্রাম সংসদ মিলিয়ে মোট সাত হাজার জনসংখ্যা। তার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জন মানুষ গ্রাম ছাড়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁদেরও ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
Be the first to comment