করোনায় আক্রান্ত রানি এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ পরিচারিকা

Spread the love

ব্রিটেনের রয়্যাল ফ্যামিলিতে ফের হানা দিল করোনাভাইরাস৷ প্রিন্স চার্লসের পর করোনা আক্রান্ত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ট পরিচারিকা৷ বুধবারই বাকিংহ্যাম পালেসের তরফে প্রিন্স চার্লসের করোনা আক্রান্তের খবর জানানো হয়৷ ছেলে চার্লস করোনা আক্রান্ত হলেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পূর্ণ রয়েছেন বলে রয়্যাল ফ্যামিলির তরফে জানানা হয়েছিল৷ তবে রানি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন বলেও জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু এবার তাঁর এক ঘনিষ্ট পরিচারিকার করোনা আক্রান্তের খবরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ব্রিটেনের রাজ পরিবার৷

করোনা আক্রান্ত রানির এই ভৃত্যের কাজই ছিলই রানি এলিজাবেথের জন্য ড্রিংক এবং খাবার দেওয়া৷ পাশাপাশি অতিথিদের আপায়ন এবং তাঁদের বার্তা রানির কাছে পৌঁছে দেওয়া৷ এছাড়াও রানির প্রিয় পোষ্যের দেখাশোনা করা৷ কিন্তু করোনা আক্রান্ত জানার পরই তাঁকে আইসোলেশনে রেখেছে রাজ পরিবার৷ রয়্যাল ফ্যামিলির তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছ, ‘রাজ পরিবারের প্রত্যেকেই অত্যন্ত আতঙ্কিত৷ তবে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের জন্য নয়, তাদের প্রিয় রানি এবং ডিউকের জন্য৷ তবে এখনও পর্যন্ত রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনা টেস্ট করা হয়নি৷ তবে আমরা নিশ্চিত বাকিরা সুস্থ রয়েছেন৷ যদিও বাতাসে আতঙ্কের ছায়া রয়েছে৷’

কিন্তু সান পত্রিকার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রয়্যাল ফ্যামিলির এক ডজন সদস্য এবং অন্য স্টাফেদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে৷ এদের নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে৷ গত সপ্তাহে রাজ পরিবারের এক ভৃত্যের করোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসার পর ৯৩ বছরের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তাঁর স্বামী অর্থাৎ ৯৮ বছরের ডিউকের প্রিন্স ফিলিপ বাকিংহ্যাম প্যালেসের উইন্ডসোর ক্যাস্টেলে আইসোলেশনে রয়েছেন৷

তবে বুধবার ৭১ বছর বয়সি চার্লসের করোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসে৷ খুব সামান্য কিছু লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর স্ত্রী ক্যামিলাকেই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। যদিও তাঁরা দু’জনেই এখন বারমোলে আইসোলেশনে রয়েছেন।

গত ১২ মার্চ রাজপ্রাসাদে ফিয়েছিলেন চার্লস ৷ তার আগে মোনাকোর প্রিন্স অ্যালবার্টের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। তিনিও করোনা আক্রান্ত। তাঁর থেকে চার্লসের সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে৷ তবে ব্রিটেনের শুধু রাজ পরিবারই নয়, করোনা আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ ব্রিটেনেও ভয়াবহ আকার নিয়েছেন করোনা৷ শনিবার পর্যন্ত ব্রিটেনে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে৷ এঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ১,০১৯ জন৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*