উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবারের চিঠি পেতে দেরিতে ক্ষুব্ধ রঞ্জন গগৈ

Spread the love

উন্নাও গণধর্ষণের ঘটনায় এবার কঠোর অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের ৷ নিগৃহীতার পরিবারের তরফে ১২ জুলাই চিঠি লিখে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও কেন দ্রুত কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হল না? বুধবার এই প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ৷ একই সঙ্গে, শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রির কাছে প্রশ্ন, কেন চিঠির বিষয়টি তাঁকে জানাতে এত বিলম্ব করা হয়েছে? এ বিষয়ে দ্রুত জানাতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ৷

প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় উন্নাও ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগকারিণী ৷ তারপরই মঙ্গলবার, কিশোরীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের লোকজন যে ক্রমাগত তাঁদের হুমকি দিচ্ছে, প্রাণে মারার ভয় দেখাচ্ছে, সে কথা এ মাসের ১২ তারিখেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল ৷ জানিয়েছিলেন কিশোরীর মা, বোন ও কাকিমা । জানানো হয়েছিল পুলিশকেও । সঙ্গে ছিল একটি ভিডিয়ো-নথিও । সেই চিঠির প্রসঙ্গেই আজ মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি ৷

রঞ্জন গগৈ বলেন, আজ সকালে বিভিন্ন কাগজে প্রকাশিত হয়েছে উন্নাওতে নিগৃহীতা এবং তার পরিবার সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছেন ৷ কিন্তু, গতকাল এ বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয়েছে ৷ কেন এর আগে আমাকে চিঠির বিষয়টি জানানো হল না ৷ এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের গঠনমূলক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল কিশোরীর পরিবারের তরফে একটি ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা হয়েছিল ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছিল, নীল শার্ট পরা একটি লোক ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কিশোরীর বাড়ির সামনে । তাকে বারবার চলে যেতে বলা হলেও সে বিন্দুমাত্র নড়ছে না । লোকটি উন্নাও ধর্ষণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শশী সিংহের স্বামী ৷ শশীই কিশোরীকে কুলদীপের কাছে নিয়ে গেছিল বলে অভিযোগ । শশীর ছেলে এবং গাড়িচালকের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে । বর্তমানে শশী জেলে । মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, শশীর ছেলে-স্বামী, কুলদীপের ভাই মনোজ নিয়মিত শাসাচ্ছিল তাদের ৷

গত ১২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো চিঠিতে এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গটি সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা হওয়ার কথা ৷ চিঠি ও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এলে নিগৃহীতা কী জানাতে চেয়েছিলেন আদালতের কাছে তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*