আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত আট। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ তাসগাঁওয়ের তুর্চিফাটা এলাকার এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামীর হোটেলের ব্যবসা রয়েছে। হোটেলে কাজের জন্য একটি দম্পতি খুঁজছিলেন তাঁরাষ তুর্চিফাটা এলাকা থেকে মুকুন্দ মানে নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি এক দম্পতিকে দেবেন কাজের জন্য। ২০ হাজার টাকা আঘাম দিয়ে ওই দম্পতিকে নিয়ে যেতে হবে বলে দাবি করেন মুকুন্দ। অভিযোগ, সেই কথা মতো ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, আক্রমণ করা হয় তাঁদের উপর। বেধড়ক পিটিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় টাকা, লুঠ করা হয় গয়না।
তরুণীর স্বামীর দাবি, এর পরে তাঁর হাত পা বেঁধে একটি গাড়ির ভিতরে আটকে রাখে অভিযুক্তেরা। এর পর তরুণীকে গণধর্ষণ করে আট জন মিলে। তরুণী অনেক বার চিৎকার করে জানান, তিনি আঠ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ।
আক্রান্ত দম্পতির অভিযোগ, এর পরে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, পুলিশে জানিয়ে লাভ হবে না। কারণ অভিযুক্তেরা অনেক প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা পুলিশ শুনবে না। তবু তাঁরা তাসগাঁও থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ার করেন। মুকুন্দ মানে, সাগর, জাভেদ খান এবং বিনোদ—এই চার জনের নাম মনে করতে পারেন তরুণী।
ঘটনার পরে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কেউ ধরা না-পড়ায় ক্ষোভ বেড়েছে। মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের প্রধান বিজয়া রাহাতকর ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি লিখেছেন পুলিশকে। জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে।
বিরোধী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি নেতা চিত্রা ওয়াঘ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীসের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্য থেকে কবে এই ধরেনের ঘৃণ্য অপরাধ দূর হবে। ঘটনাটিকে ‘মানবিকতার কালো দাগ’ বলে বর্ণনা করেন চিত্রা। শিবসেনার তরফেও ঘটনার নিন্দা করে দ্রুত বিচার দাবি করা হয়েছে।
Be the first to comment