নবীন চন্দ্র দাশের (জন্ম: ১৮৪৫) দৌলতে রসগোল্লা আবিষ্কারের দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গ ২০১৭ সালে নভেম্বরে এই অভিনব মিষ্টির উৎসভূমির শিরোপা পেয়ে যায়। ঠিক তারপরই ওড়িশার সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণারত অসিত মহান্তি উদ্ধার করতে থাকেন স্বরাজ্যের সমর্থনে নানা প্রমাণ। খুঁজতে খুঁজতে তুলসীদাসী রামায়ণের আগে মধ্যযুগের ওড়িয়া কবি বলরাম দাস রচিত ডান্ডি রামায়ণে (১৫ শতক) রসগোল্লার উল্লেখ খুঁজে পান তিনি।
আর এবার ওড়িশার রসগোল্লা পেল জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেটর ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। যার অর্থ ওড়িশাকে রসগোল্লার উৎসভূমি হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হল। প্রসঙ্গত, দুবছর আগেই বাংলার রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পেয়েছিল। গত সোমাবার কিন্তু চেন্নাইয়ে অবস্থিত জিআই রেজিস্ট্রি’র ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওড়িশাকে রসগোল্লার জন্য জিআই ট্যাগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
তবে ওড়িশার পক্ষ থেকে আগেও এ দাবি করা হয়ে। যে ১২ শতক থেকে চলে আসা জগন্নাথ দেবের মাসিবাড়ি থেকে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের সময় থেকেই রসগোল্লা বিতরণের প্রথা চালু রয়েছে। কিন্তু তার সপক্ষে কোনও লিখিত প্রমাণ না দিতে পারায় জিআই ট্যাগ প্রাপ্তি থেকে সে যাত্রায় রাজ্য বঞ্চিত হয়। এবার আর তা হয়নি, প্রমাণ দিয়েই জিতেছে শিরোপা।
Be the first to comment