দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর ওড়িশাকে হারিয়ে দু’বছর আগেই জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেটর ট্যাগ পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা। তবে এবার দেরিতে হলেও সেই ট্যাগ পেলো ওড়িশাও। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রসগোল্লার পেটেন্ট দাবি করে ওড়িশা সরকার। জিআই ট্যাগ পেতে গতবছর ওড়িশার হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। শেষ পর্যন্ত সোমবার জিআই ট্যাগ পেলো ওড়িশার রসগোল্লা।
জিআই ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়, ওড়িশার রসগোলা খুব নরম, রসালো। মুখে দেওয়া মাত্রই মিলিয়ে যায়। অন্য যেসব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি হয় সেগুলি আকারে গোল, সাদা ও স্পঞ্জ। তাই “ওড়িশার রসগোল্লা”-কে আলাদা করে জিআই তকমা দেওয়া হলো।
তবে ওড়িশা যাকে রসগোল্লা বলে দাবি করে, তার স্থানীয় নাম ক্ষীরমোহন। এটি মূলত সুজি, ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়। অন্যদিকে, বাংলার রসগোল্লার মূল উপাদান ছানা ও চিনির রস। ওড়িশা সরকার আগেই দাবি করেছিল, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রসগোল্লা বিতরণের প্রথা প্রচলিত আছে।
Be the first to comment