রাস্তার ধারে হাঁড়ির ভিতর রাখা ছিল বোমা। দুই শিশু বল ভেবে সেটাকে নিয়ে খেলতে গিয়েছিল। তাতেই বোমা দুটি ফেটে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ভোটমুখী বাংলায় এদিন সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এবার তাতে যোগ হল রাজনৈতিক তরজা।
বর্ধমান রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাস। সেখান থেকেই তাঁর অভিযোগ, “বিরোধীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন আমদানী করছে। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়াইয়ের জমি না পেয়ে চক্রান্ত করেছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক নিয়ে এসে বোমা রেখেছে বিজেপি। বলেন, “খুব খারাপ ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিবারের পাশে আছেন, তৃণমূলও পাশে আছে।”
পাশাপাশি এই ঘটনায় কোনওভাবেই তাঁদের দল যুক্ত নয় বলে তৃণমূল প্রার্থী যোগ করেন, “কোনও গণ্ডগোলের মধ্যে আমরা থাকি না, কাউকে গণ্ডগোলও করতেও দিই না। তবে এখানে বিজেপির ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১১.১৫ মিনিট নাগাদ বর্ধমানের রসিকপুরে একটি দেশি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় শেখ আফরোজ নামে একটি শিশুর। শেখ ইসমাইল নামে আরেকটি শিশু গুরুতর আঘাত নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। এই ঘটনার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই নিরীহ শিশুর মৃত্যুতে একে অপরকে দোষারোপ করছে রাজনৈতিক দলগুলি।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তৎপর হয়েছে কমিশনও। রাজ্য প্রশাসনের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে তারা। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল, কে সেখানে বিস্ফোরক রেখেছিল জানাতে বলা হয়েছে রিপোর্টে। এরই মধ্যে সোমবার ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছেন বর্ধমানের জেলাশাসক। তাতে তিনি জানিয়েছেন, একটি হাঁড়িতে রাখা ছিল বোমাটি। শিশুদুটি সেই বোমা নিয়ে খেলতে গেলে ফেটে যায়। কিন্তু হাঁড়ির খোঁজ মেলেনি। বোমা হাঁড়ির ভিতরে কে রাখল তারও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। এই প্রেক্ষিতে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হিংসার অভিযোগ করল তৃণমূল।
Be the first to comment