কলকাতা পুরভোটে দলের টিকিট না মেলায় নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা রতন মালাকার। কিন্তু হঠাৎই মত বদল। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন রতন। প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গী রতন মালাকার। ২০ বছরের কাউন্সিলর তিনি। কিন্তু আসন্ন কলকাতা পুরভোটে টিকিট পাননি রতন। তাঁর জায়গায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ জন্মেছিল রতন মালাকারের মনে।
পরবর্তীতে নির্দল হিসেবে পুরভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন। তবে বরাবরই তিনি জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে। মানুষ চেয়েছে বলেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন রতন মালাকার।
তাঁর কথায়, “আমি বহুদিন ধরে তৃণমূল করি। দলেই আছি। দলের প্রতি আনুগত্য ছিল, আছে। মানুষ চেয়েছিল আমি লড়াই করি। ওয়ার্ডের মানুষের স্বার্থে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করছি।” কিন্তু কেন আচমকা সিদ্ধান্ত বদল? তা জানা যায়নি। শুধুমাত্র রতন মালাকার নয়, তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরও প্রতীক না পাওয়ায় নির্দল হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্ত ঘটনাচক্রে এই মুহূর্তে প্রতীক পাননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। তনিমাদেবী জানিয়েছিলেন, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারের অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। জানানো হয়, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে। সেই কারণে পরে তাঁকে প্রতীক দেওয়া হবে। কিন্তু শেষমেশ প্রতীক দেওয়া হয় সুর্দশনা মুখোপাধ্যায়কে।
Be the first to comment