আপাতত বিশ বাঁও জলে রথযাত্রার ভবিষ্যৎ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে, ফের রথ মামলা ফিরছে সিঙ্গল বেঞ্চে। রথযাত্রা নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সিঙ্গল বেঞ্চকে। কাল থেকে হাইকোর্টে শীতের ছুটি। তারপরই রথ-মামলা শুরুর সম্ভাবনা।
রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নির্দেশ, রথের অনুমতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ– রথযাত্রা নিয়ে রাজ্যের কাছে জমা পড়া গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে সিঙ্গল বেঞ্চকে। এরই মধ্যে ডিজির হয়ে সওয়াল করতে আদালতে পৌঁছন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি আদৌ সওয়াল করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল বাকবিতণ্ডা। ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকে শুনানি। আদালত অনুমতি দিলে বক্তব্য শুরু করেন সিংভি।
বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সংবিধান মিটিং, মিছিলের অধিকার দিয়েছে। ভ্রাম্যমান যাত্রার অধিকার দেয়নি। ৩৯ দিন ধরে রথযাত্রায় প্রবল যানজট হওয়ার সম্ভাবনা। গোয়েন্দা রিপোর্টের পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিজেপি শর্ত মেনে যাত্রা করলেও দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে না, সে নিশ্চয়তা কোথায়? বীরভূম, পুরুলিয়া ও উত্তর দিনাজপুর – এই তিন জেলা থেকে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা বার্তা রয়েছে।
এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ কেন গোয়েন্দা বিবেচনা না করে সিদ্ধান্ত নিল ? প্রধান বিচারপতির সেই প্রশ্নের মুখেও পড়েন বিজেপির আইনজীবী। সওয়াল পর্ব শেষ হওয়ার পরই এল রায়। যা রথ নিয়ে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বিজেপিকে।
Be the first to comment