দেশজুড়ে মহা সমারোহে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা, পুরীতে জনস্রোত

Spread the love

করোনার ধাক্কা সামলে রথযাত্রায় মেতে উঠেছে দেশবাসী। মহিষাদল, জগন্নাথ, মায়াপুরে ঠাসা ভিড় দর্শনার্থীদের। বহু দূর দুরান্ত থেকে জগন্নাথ দেবের দর্শনে পুরীতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো হাজারো পুর্ণার্থী ।

সকাল থেকেই  মায়াপুরের ইসকন মন্দির, মাহেশ, গুপ্তিপাড়া ও কলকাতায়  রথ যাত্রা ঘিরে সাজসাজ রব। গত দু’বছর পর করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে লাখো লাখো ভক্ত মেতে উঠেছে রথযাত্রা উৎসবে। আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হতে চলেছে মহিষাদলের রথযাত্রা। সকাল থেকেই পূজার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ দেবের ভোগের আয়োজন করা হচ্ছে।

আজ ৫৬ পদ ভোগ রান্না করা হচ্ছে জগন্নাথ দেবের জন্য। জগন্নাথ দেবের প্রিয় বেশ কিছু পদ রান্না করা হচ্ছে। শাক, পিঠে, পায়েশ বিশেষ করে পাটিসাপটা, খাজা গজা কি নেই তাতে। ভোর থাকতেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন পদের ভোগ রান্না।  জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করার পরেই বেলা একটা থেকে দেড়টা নাগাদ তিনি পান্ডু যাত্রা করে রথে চড়বেন এবারের বিশেষ আকর্ষণ সুভদ্রার রথের চাকা পদ্মধ্বজ।  এ বছরে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদি দিয়ে নতুন করে সাজানো হয়েছে রথ।

ইতিমধ্যেই বহু ভক্ত এবং মানুষের সমাগম হয়েছে ইসকন মন্দিরে। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভক্তের ভিড় হবে এবারের রথে। জানা যাচ্ছে, বিকেল আড়াইটা থেকে তিনটের সময় ইসকনের  রথ রওনা দেবে মাসির বাড়ি তথা ইসকন মন্দিরের কাছে।  রাজাপুর থেকে যা ৫ কিলোমিটার দুরেই।

মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতী শিউলি দাস জানান, মহিষাদলের রথকে এ বছর আরও নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মেলার আকর্ষণ বাড়াতে জগন্নাথের মাসিবাড়ি গুণ্ডিচাবাটিতে ৩ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দিন যাত্রা, লোকগান, বাউল, ছৌনৃত্য সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অতিথি সংগীতশিল্পী হিসেবে থাকবেন জি-বাংলা খ্যাত সায়ম পাল, ঋষি চক্রবর্তী এবং অন্যান্য সংগীতশিল্পীরা।রথের দিন ২০ হাজার পুণ্যার্থীদের হাতে মদনগোপাল জিউর প্রসাদ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।আগামী ৯ জুলাই উল্টোরথ। এ বছর রথযাত্রার মেলা ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

অন্যদিকে, তারাপীঠেও রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । এখানকার বিশেষত্ব হল, এখানে রথের সাওয়ারি হন দেবী তারা । প্রাচীনকাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে । বছরের এই একটি দিনে মূল মন্দির থেকে মা তারাকে বের করে নিয়ে এসে রথের মধ্যে চাপানো হয়। তারপর পুরো তারাপীঠ এলাকা পরিক্রমা করে মা তারার রথ ।এই অভিনভ  রথযাত্রা দেখতে ভীড় জমে তারাপীঠে প্রতিবছরই । এ বছরও ভিড় জমেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*