মাসানুর রহমান,
বুধবার দিল্লির সদর দফতরে যখন বিজেপিতে যোগদান করছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তখন সবটাই নিজের বাড়িতে টিভিতে দেখে হেসেই চললেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, যেখানে কোনো মানুষের নিজেরই কোনো নীতি আদর্শ নেই তার মুখে নীতির কথা মানায় না। তিনি আরোও বলেন, বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছিল তাই তিনি কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী ও তারও পরে মেয়র হতে পেরেছেন। তিনি বলেন, যে মানুষটা তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের ফেলে রেখে অন্য সম্পর্কে থাকে সে মানুষটা কখনও ভালো হতে পারেনা। আর তাঁকে বিজেপি নিয়েছে তাহলে সে আর কতটা ভালো হবে। সময় বলবে আগামীতে কি হবে।
কেন শোভন বিজেপিতে গেলেন? সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, শোভন যতদিন আমাদের (আমি, আমার ছেলে ও মেয়ে) সঙ্গে ছিলেন, নীতিগত ভাবে ঠিক মানুষ ছিলেন। ততদিন ভাল ছিলেন, তৃণমূলেই ছিলেন। মমতার হাত ধরে উনি রাজনীতিতে এসেছেন। ওঁর উত্থান আমি চোখের সামনে দেখেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সৎ মানুষের সঙ্গে আছি। কানন যেটা করছে, সেটা অন্যায়। মমতা অনেকবার ওঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু উনি বোঝেননি। অনৈতিক কাজকর্মে মমতার সমর্থন পাননি শোভন, ভেবেছে হয়ত বিজেপির সমর্থন পাবেন, তাই গিয়েছেন। শোভন-বৈশাখী দু’জনে যুক্তি করেই গিয়েছেন’।
রত্না আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুন, ফের তৃণমূলই ক্ষমতাই ফিরবে। দেখবেন আবারও নির্বাচন হবে, কিন্তু মেয়র হবেন না শোভন। এখানেই না থেমে রত্না আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত দেখবেন, শোভনবাবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই ফিরতে হবে। যাঁর হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল, সেখানেই ফিরে আসতে হবে।
তবে এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘ওই মহিলার নাম আমি মুখে আনতে চাই না’। তাঁর দাবি , ওই মহিলার জন্য শুধু আমার ঘর ভাঙেনি, কলকাতা শহরের অনেকের ঘর ভেঙেছে। পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে বিজেপি ‘তৃণমূলের নেত্রী’ হিসাবে পরিচয় দিয়েছে, তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রত্না। তিনি বলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদি তৃণমূলের নেত্রী হন, তাহলে এরকম নেত্রী তৃণমূলে অনেকে আছেন।
Be the first to comment