নারদ কাণ্ডে এবার রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলো ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। সূত্রের খবর, স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন ও একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। তবে, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পায়নি ইডি। ফলে খটকা রয়েই গেছে। ইডি সূত্রে খবর, রবিবারই রত্নাকে শমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেইমতো সোমবার ইডির দফতরে পৌঁছন তিনি।
সূত্রের খবর, আগেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল তদন্তকারীদের হাতে। নারদের টাকা শোভনবাবুর কাছ থেকে কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে এবং টাকা কি শোভনবাবু নিজের কাছে রাখেন, না রত্নাদেবীকে দেন? এই প্রসঙ্গে উঠে আসে শোভন এবং রত্নাদেবীর একটি কোম্পানির কথা। সেই কোম্পানির যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখেছে তদন্তকারীরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে শোভনবাবুকেও।
যদিও তিনি সম্প্রতি পুরো বিষয়টি রত্না দেখেন বলে এড়িয়ে গেছেন। আর এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। তদন্তকারীদের প্রশ্ন ছিল, ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে নেওয়া টাকা শোভনবাবু কোথায় রেখেছিলেন? অন্য কারও কাছে যায়নি তো ওই টাকা? সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরও বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলে সূত্রের খবর। ফলে শোভন-রত্নাকে আবার ডাকার সম্ভাবনা প্রবল।
নারদকাণ্ডে সিবিআই-এর পাশাপাশি তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। এই মামলায় ইতিমধ্যে প্রথম গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। সিবিআই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এস এম এইচ মির্জাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুকুল রায়ের ফ্ল্যাটে গেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার ইডি রত্নাদেবীকে ডাকায় পুরো বিষয়টি নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।
Be the first to comment