নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ ৷ দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ, অসম থেকে মুম্বই দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ চলছে প্রতিনিয়ত ৷ প্রতিবাদ চলছে দেশের সর্বত্র ৷ শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের ৷ জামিয়া মিলিয়া-আলিগড় থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, CAA আইনের প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা ৷ এই পরিস্থিতিরই তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত ৷ তিনি বলেন, ”যাঁরা দেশে আগুন লাগাচ্ছেন, হিংসায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা নেতা নন ৷”
দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে এসে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করেন রাওয়াত ৷ আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন রাওয়াত ৷ তাঁর কথায়, ”জনগণকে পরিচালনা করাই শুধু মাত্র এক জন নেতার কাজ নয় ৷ নেতৃত্ব দেওয়া এতটা কঠিন কেন? কারণ তিনি যা করবেন, বাকিরা তা অনুসরণ করবেন ৷ এটা এত সহজ নয় ৷ এটা দেখে আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও আসলে নেতৃত্ব দেওয়া অত্যন্ত কঠিন৷”
রাওয়াতের মত, জনতার মধ্যে থেকেই বেছে নিতে হবে নেতাকে ৷ কিন্তু যিনি মানুষকে সঠিক দিশা দেখাবেন, তিনিই নেতা হওয়ার যোগ্য ৷ জনগণকে ভুল পথে চালিত করতে পারেন না কোনও প্রকৃত নেতা ৷
রাওয়াত বলেন, ”দেশজুড়ে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ চলছে ৷ কলেজ পড়ুয়ারা রয়েছেন ৷ কিন্তু যেভাবে জনগণকে তাঁরা পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন ৷ তার ফলে দেশের নানা শহর-এলাকাজুড়ে শুধুই আগুন জ্বলছে ৷ চলছে হিংসা ৷ এটা নেতৃত্ব নয় ৷”
অনুষ্ঠানে এসে সিয়াচেনে কঠিন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কাজের কথাও তুলে ধরেন রাওয়াত ৷ চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন রাওয়াত ৷ তিনি অবসর নেওয়ার পর দেশের ২৮তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ।
Be the first to comment