ভোটে বিপর্যয়ের পর বোধোদয় ! ঠেলায় পড়ে কৃষিঋণ মকুবের চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে বিজেপি ? এর জন্য খরচ ছাড়াতে পারে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। এত টাকা এখনই কেন্দ্রের হাতে নেই। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও আরবিআইয়ের থেকে টাকা চেয়ে চাপ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।
কৃষক বিক্ষোভের ঢেউ প্রথমে আছড়ে পড়েছিল মুম্বইতে। তারপর দিল্লিতেও। দেশের সব প্রান্তের কৃষকদের জমায়েত আর অভূতপূর্ব বিক্ষোভ ৷ পাঁচ রাজ্যের ভোট বিপর্যয়ের পিছনেও কৃষকদের ক্ষোভ। একথা স্পষ্ট হতেই শুরু হয়েছে মলমের খোঁজ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, ৪ লক্ষ কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুবের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে মোদি সরকার। বাধা একটাই। এত বিপুল টাকা মকুবের ক্ষমতা এখনই কেন্দ্রের নেই ৷
ঋণ মকুবে প্রয়োজন ৪ লক্ষ কোটি টাকা চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি ধরা হয়েছে ৩.৩ অক্টোবরেই রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে রাজকোষ ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশও ছুঁতে পারেসেক্ষেত্রে নতুন করে ধার বা খরচ কমাতে হবে। এর জন্য ৪ লক্ষ কোটি যোগাড় করাটাই কেন্দ্রের কাছে মাথাব্যথা। অক্টোবরেই রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোয় আরও বেশি নগদের যোগান দিতে হবে কেন্দ্রকে। বিলগ্নীকরণ বা সামাজিক প্রকল্পের খরচ কমানো ছাড়া গতি নেই। ঘাটতি মাত্রা ছাড়ালে ভোটের আগে চাপ বাড়বে মোদি সরকারের।
তাই ৪ লক্ষ কোটি দূরে থাক, ৪০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করতে গেলেও ভাবতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।অনেক আগেই কি সেকথা বুঝে ছিলেন বলেই আরবিআইয়ের তহবিল ভাগে চাপ দেন অরুণ জেটলিরা ?
উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের পর আরবিআই গভর্নর পদে এখন নরেন্দ্র মোদির পছন্দের ব্যক্তি। দায়িত্ব নিয়ে তহবিল ভাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি শক্তিকান্ত দাস।
২০০৮ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার নগদ ঢেলেই কৃষিঋণ মকুব করেছিল। এনডিএ সরকারের কাছে সেই সুযোগ নেই। ভোটের আগে আরবিআই তহবিল ভাগে সম্মতি দেবে, এমন সম্ভাবনাও কম বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে বিকল্প পথ খঁজতে হবে মোদি সরকারকে। কিন্তু সেটা আদৌ মিলবে কী ?
Be the first to comment