ঘরের মাঠ ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজ আইপিএলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সানরাইজ হায়দ্রাবাদের সাথে মুখোমুখি হলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে এই ম্যাচ না জেতা ছাড়া উপায় ছিলো না বিরাটদের। কারণ ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। লিগ তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে তারা। যদিও অন্য দলগুলোর তুলনায় বিরাটদের নেট রানরেট (০.২১৮) বেশ ভালই। তাই শেষ দু’টো ম্যাচ জিতলে প্লে-অফে পৌঁছনোর সুযোগ এখনও রয়েছে ব্যাঙ্গালুরুর কাছে। অন্য দিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে হায়দ্রাবাদ। উইলিয়ামসনরা ইতিমধ্যেই প্লে-অফের স্থান পাকা করে ফেলেছেন। এই কঠিন ম্যাচ ১২ রানে জিতে অবশেষে প্লে অফের দৌড়ে টিকে রইলো বিরাটরা। পরের ম্যাচ জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলেই নির্ধারিত হবে প্লে অফে যেতে পারবে কিনা।
হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসন টস জিতে আজ ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান। ব্যাঙ্গালুরু ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৮ রান করে। বিরাট আজ রান পায়নি। মাত্র ১২ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হয়ে যান তিনি। খেলার হাল ধরেন এবি ডেভিলিয়ার্স এবং মইন আলি। ডেভিলিয়ার্স ৩৯ বলে ১২ টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ রান করেন। মইন আলি ৩৪ বলে ২টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ রান করেন। কলিন ডে গ্রান্ডহোম করেন ৪০ রান। তিনি ৪টি ছক্কা হাঁকান। শেষের দিকে সরফরাজ খান করেন ৮ বলে ২২ রান। রশিদ খান ৩ উইকেট, সিদ্ধার্থ কল ২ উইকেট নেন।
জবাবে হায়দ্রাবাদ দুর্দান্ত শুরু করে। শিখর ধাওয়ান(১৮) আউট হয়ে গেলেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে ৮১ রান) এবং অ্যালেক্স হেল (২৪ বলে ৩৭) জুটি তাদের মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান। ডেভিলিয়ার্স এর একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ফিরিয়ে দেয় হেলকে। তারপর জুটি বাঁধে মণিশ পান্ডের (৩৮ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬২) সাথে উইলিয়ামসনের। দুজনে মিলে ১০০ রানের উপর পার্টনারশিপও গড়েন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৪ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ১৪ রানে হারে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন এবি ডেভিলিয়ার্স।
ফাইল ছবি
Be the first to comment